ইসির নিবন্ধন পাচ্ছে তিনটি নতুন রাজনৈতিক দল: ইসি সচিব

প্রকাশ : 2025-11-04 16:57:38১ |  অনলাইন সংস্করণ

  নিউজ ডেস্ক   

ইসির নিবন্ধন পাচ্ছে তিনটি নতুন রাজনৈতিক দল: ইসি সচিব

নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নিবন্ধন পাচ্ছে তিনটি নতুন রাজনৈতিক দল। গণবিজ্ঞপ্তি জারির পর দলগুলোর বিষয়ে কোনো দাবি আপত্তি না থাকলে এ দলগুলো ইসির চূড়ান্ত নিবন্ধন পাবে।মঙ্গলবার (০৪ নভেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ের সামনে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ।

ইসি সচিব বলেন, নতুন রাজনৈতিক দলের নিবন্ধনের জন্য প্রাথমিক বাছাই শেষে ১৪৩টি আবেদনের মধ্যে মাঠপর্যায়ের তদন্তে ৩টি দল শর্ত পূরণ করেছে। এই তিনটি দল হলো— বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল (মার্ক্সবাদী), বাংলাদেশ আম জনগণ পার্টি এবং জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। দলগুলোকে নিবন্ধনের জন্য যোগ্য মনে করছে কমিশন। এই তিনটি দলের নিবন্ধন বিষয়ে জনসাধারণের মতামত ও আপত্তি জানানোর জন্য আগামীকাল (তারিখ উল্লেখ নেই, তবে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে) পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হবে। জনমত জানানোর সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে ১২ নভেম্বর পর্যন্ত। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রাপ্ত তথ্য পর্যালোচনা করে কমিশন চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে।

তিনি আরও বলেন, প্রাথমিকভাবে বিবেচিত হলেও পরবর্তী সময়ে জাতীয় জনতা পার্টি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (শাহজাহান সীরাজ) এবং জাতীয় লীগের নিবন্ধন প্রক্রিয়া বাতিল করা হয়েছে। এই দলগুলোর রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের ধারাবাহিকতা না থাকায় সেগুলো বাতিল করা হয়েছে। এছাড়া আম জনতার দল, বাংলাদেশ জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি, ভাষানী জনশক্তি পার্টি, বাংলাদেশ বেকার মুক্তি পরিষদ, জনতার দল, মৌলিক বাংলা, জনতার পার্টি এবং বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক পার্টি— এ আটটি দলকে সঠিকতা না পাওয়ায় নামঞ্জুর করা হয়েছে।

যোগ্যতা অর্জনের মাপকাঠি এবং শিথিলতা

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সিনিয়র সচিব জানান, রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের ন্যূনতম দুটি শর্তের মধ্যে যেকোনো একটি পূরণ করা বাধ্যতামূলক। শর্ত দুটি হলো— ১০০টি উপজেলা/মহানগর পর্যায়ে কার্যকরী কার্যালয় এবং সদস্য থাকতে হবে, অথবা ২২টি জেলায় কার্যকরী কার্যালয় এবং সদস্য থাকতে হবে।

তিনি আরও যোগ করেন, আদালতের সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে কিছুটা সহনশীলতার (লিনিয়েন্টলি) ভিত্তিতে সামান্য শর্টফল (ঘাটতি) থাকলেও দলগুলোকে বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে।

চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের সময়সীমা প্রসঙ্গে ইসি সচিব আরও জানান, ১২ নভেম্বর পর্যন্ত জনসাধারণের কাছ থেকে দাবি, আপত্তি বা অভিমত পাওয়ার সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে। এই সময়সীমা শেষ হওয়ার পর, যদি কোনো জটিলতা না থাকে তবে ১৪ বা ১৫ নভেম্বর মধ্যেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত বা গেজেট প্রকাশ করা সম্ভব হবে।

প্রতীক ও অন্যান্য প্রসঙ্গ তিনি বলেন, এনসিপি এবং আরও দুটি দল প্রতীক চেয়ে আবেদন করেছে। এর মধ্যে একটি দল প্রতীক পরিবর্তনের অনুরোধ করেছে। এই বিষয়ে কমিশন যাচাই-বাছাই করছে এবং প্রাপ্যতা থাকলে বিজ্ঞপ্তিতে তা জানানো হবে।