বাংলাদেশের প্রস্তাবিত দূতকে 'না' করলো বাহরাইন
প্রকাশ : 2024-03-21 11:59:55১ | অনলাইন সংস্করণ
নিউজ ডেস্ক
প্রায় চার বছর বাহরাইনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব পালন করেন পেশাদার কূটনীতিক ড. মো. নজরুল ইসলাম। গত বছরের শেষের দিকে এ কূটনীতিককে অতিরিক্ত সচিব করে সদর দপ্তর ঢাকায় নিয়ে আসা হয়। আর তার স্থলাভিষিক্ত হিসেবে আরেক পেশাদার কূটনীতিককে মানামায় বাংলাদেশের পরবর্তী রাষ্ট্রদূত হিসেবে প্রস্তাব পাঠায় ঢাকা।
তবে দেশটি ঢাকার প্রস্তাবিত কূটনীতিককে নিতে রাজি হয়নি। আর ঠিক কি কারণে প্রস্তাবিত ব্যক্তিতে আপত্তি রয়েছে, তা জানানো হয়নি। সেজন্য মধ্যপ্রাচ্যের গুরত্বপূর্ণ দেশটিতে বিকল্প দূত পাঠানোর পরিকল্পনা করছে সরকার।
কূটনৈতিক সূত্রগুলো বলছে, গত বছরের সেপ্টেম্বরে স্টেশন (মিশন) ছাড়েন সাবেক রাষ্ট্রদূত নজরুল ইসলাম। রাষ্ট্রদূত স্টেশন ছাড়ার আগে মিশনের দায়িত্ব দেওয়া হয় কাউন্সিলর পদমর্যাদার এক কূটনীতিককে। এ. কে. এম. মহিউদ্দিন কায়েস নামের ওই কূটনীতিককে করা হয় বাংলাদেশ দূতাবাসের চার্জ দ্যা অ্যাফেয়ার্স। প্রায় সাত মাস মিশনটিতে রাষ্ট্রদূতের পদ শূন্য রয়েছে।
ঢাকার একটি কূটনৈতিক সূত্র জানায়, গত বছরের সেপ্টেম্বরে সাবেক রাষ্ট্রদূতকে ঢাকায় ফেরানোর সিদ্ধান্তের পর বর্তমানে মালয়েশিয়ার বাংলাদেশ হাইকমিশনে উপ-হাইকমিশনারের দায়িত্বে থাকা পেশাদার কূটনীতিক খোরশেদ আলম খাস্তগীরের জন্য রাষ্ট্রদূত হিসেবে এগ্রিমো (নিয়োগের প্রস্তাব) চাওয়া হয়। এগ্রিমো চাওয়ার পর ধারণা করা হয়েছিল, ওই বছরের মধ্যে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাবে হোস্ট কান্ট্রি। আর এ নিয়ে হোস্ট কান্ট্রি বাহরাইনের সংশ্লিষ্ট দপ্তরে বিভিন্ন সময়ে আপডেট চেয়ে যোগাযোগ করেছে ঢাকা। শুধু তাই নয়, দেশটির দিল্লির বাংলাদেশ মিশনেও যোগাযোগ করা হয়েছে। কিন্তু কোনো ইতিবাচক সাড়া মেলেনি।
বাংলাদেশের কূটনীতিককে গ্রহণ না করার কারণ হিসেবে এক কূটনীতিক বলেন, প্রস্তাবিত দূতের জন্য এগ্রিমোর চাওয়ার পর হোস্ট কান্ট্রি তাকে নেবে কি নেবে না, এটা একান্তই তাদের ব্যাপার। আর কূটনীতিক রীতি অনুযায়ী কোনো দেশ কেন প্রস্তাবিত দূতকে গ্রহণ করেনি; তার ব্যাখ্যা দিতেও বাধ্য নয়। তবে হয়ত যে কূটনীতিকের জন্য এগ্রিমো চাওয়া হয়েছে তার বিষয়ে হোস্ট কান্ট্রি কোনো খারাপ তথ্য পেয়েছে।
প্রসঙ্গত, বিসিএস (পররাষ্ট্র ক্যাডার) ২০ ব্যাচের কর্মকর্তা খোরশেদ আলম খাস্তগীর ২০০১ সালে পেশাদার কূটনীতিক হিসেবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যোগদান করেন। ২০২০ সাল থেকে কুয়ালালামপুরের বাংলাদেশ হাইকমিশনে উপ-হাইকমিশনারের দায়িত্ব পালন করছেন তিনি।