‘বীর মুক্তিযোদ্ধা’ ও ‘মুক্তিযুদ্ধের সহযোগী’ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ‍্যমে তোলপাড়

প্রকাশ : 2025-06-04 14:12:10১ |  অনলাইন সংস্করণ

  নিউজ ডেস্ক   

‘বীর মুক্তিযোদ্ধা’ ও ‘মুক্তিযুদ্ধের সহযোগী’ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ‍্যমে তোলপাড়

জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা) আইন-২০২২ সংশোধন করে মঙ্গলবার (৩ জুন) রাতে আইন মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিভাগ থেকে অধ্যাদেশ জারির পরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ‍্যমে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।

মহান মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদসহ ১৯৭০ সালের নির্বাচনে বিজয়ী রাজনীতিবিদের (এমএনএ/এমপিএ) বীর মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি থেকে বাদ দেওয়ার খবর প্রকাশিত হওয়ার পরেই সমালোচনা শুরু হয়।

তবে বুধবার (৪ জুন) সকালে সংস্কৃতি উপদেষ্টা ফেসবুকে লেখেন, প্রিয় ভাই-বোনেরা, শেখ মুজিবুর রহমান, তাজউদ্দিন আহমেদসহ মুক্তিযুদ্ধের নেতাদের মুক্তিযোদ্ধা সার্টিফিকেট বাতিল- একটা ফেক নিউজ। নতুন অধ্যাদেশে মুজিবনগর সরকারের সব সদস্যকে মুক্তিযোদ্ধার স্পষ্ট স্বীকৃতি দেওয়া আছে। মুজিবনগর সরকারের কোনও সদস্যের মুক্তিযোদ্ধা সার্টিফিকেট বাতিল হয়ে গেছে এটা যে ফেক নিউজ তার প্রমাণ হিসাবে অধ্যাদেশের স্ক্রিনশট দেওয়া হলো।

এতে আলোচনা নতুন রূপ পায়। অধ‍্যাদেশে অস্পষ্টতা তৈরি হয়েছে দুটো ভিন্ন সংজ্ঞা একসাথে পড়ার কারণে। এখানে বীর মুক্তিযোদ্ধার জায়গায় “মুজিবনগর সরকার” থাকলেও মুক্তিযুদ্ধকালীন গঠিত গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের প্রবাসী বাংলাদেশ সরকারের (মুজিবনগর সরকার) সহিত সম্পৃক্ত সকল এমএনএ (Member of National Assembly) বা এমপিএ (Member of Provincial Assembly) যারা পরবর্তীকালে গণপরিষদের সদস্য (Member of Constituent Assembly) হিসাবে গণ্য হয়েছিলেন এদের সবাইকে সহযোগী সংজ্ঞায় দেওয়া হয়েছে।

যদিও এসবের আগেই তুমুল বিতর্ক তৈরি হয় এই অধ্যাদেশ নিয়ে। জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম ফেসবুকে প্রশ্ন করেন, তাজউদ্দিন আহমদ মাঠে থেকে মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্ব দিয়েছেন। তার মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি বাতিল হয় কীভাবে?’ তবে বুধবার (৪ মে) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এই স্ট্যাটাসটি পরে প্রত্যাহারও করে নেন সারজিস।

তর্কবিতর্কে মধ্যে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক ই আজম বুধবার সাংবাদিকদের জানান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ জাতীয় চার নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, মো. মনসুর আলী ও এএইচএম কামরুজ্জামানের মুক্তিযোদ্ধা স্বীকৃতি বলবৎ থাকবে।

কা/আ