বুধবার সকাল ১০টা পর্যন্ত আল্টিমেটাম, আন্দোলনে নগর ভবনের কর্মচারীরাও
প্রকাশ : 2025-05-20 18:07:24১ | অনলাইন সংস্করণ
নিউজ ডেস্ক

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র হিসেবে শপথের ব্যবস্থা করতে টানা ষষ্ঠ দিনের আন্দোলন শেষে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন ইশরাক হোসেনের অনুসারীরা। আগামীকাল বুধবারের (২১ মে) মধ্যে বিএনপির মেয়রপ্রার্থী ইশরাক হোসেনকে দায়িত্ব বুঝিয়ে না দেওয়া হলে ঢাকা অচলের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা। এদিকে, আন্দোলনে একাত্মতা প্রকাশ করে সব ধরণের নাগরিক সেবা বন্ধের ঘোষণা দিয়েছেন সিটি করপোরেশনের পাঁচটি কর্মচারী ইউনিয়ন।
মঙ্গলবার (২০ মে) নতুন এ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। একইসঙ্গে ইশরাক হোসেনকে মেয়রের দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়ার দাবিতে বুধবার (২১ মে) সকাল ১০টা থেকে নগর ভবনের সামনে আবারো অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হবে বলে জানানো হয়েছে।
এদিন সকাল ১০টা থেকেই ডিএসসিসির প্রধান কার্যালয় নগর ভবনের সামনে আসতে শুরু করেন ঢাকা মহানগরের আন্দোলনকারীরা। নগর ভবনের সামনেই অবস্থান নেন তারা। সেখান থেকে ইশরাক হোসেনকে অবিলম্বে মেয়রের দায়িত্ব বুঝিয়ে দিতে নানাবিধ শ্লোগান দেন। একইসঙ্গে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের পদত্যাগও দাবি করা হয়।
আন্দোলনকারীরা সকাল থেকে গুলিস্তান-বঙ্গবাজার সড়ক বন্ধ করে ‘ঢাকাবাসী’র ব্যানারে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। দুপুরের দিকে ঝুম বৃষ্টির মধ্যেও আন্দোলনকারীরা নগর ভবনের সামনে বিক্ষোভ করেন। তারা নানা স্লোগানে পুরো এলাকা মুখরিত করে তোলেন। এসময় কর্মসূচি ঘোষণার মঞ্চে এই আন্দোলন ও দাবির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেন ঢাকা সিটি করপোরেশনের সর্বস্তরের কর্মচারী ইউনিয়ন। তাদের পক্ষ থেকে তাদের নগরবাসীর প্রত্যেক নাগরিক সেবা বন্ধের ঘোষণা দেওয়া হয়।
সিটি করপোরেশনের প্রত্যেক কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক উপস্থিত হয়ে ‘ঢাকাবাসী’র এই আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেন। তারা ঘোষণা করেন, আগামীকাল সকাল ১০টার মধ্যে দাবি মানা না হলে এরপর থেকে পরিচ্ছন্নতা সেবা, ময়লা পরিবহনসেবা এবং বিদ্যুৎ সেবাসহ সকল ধরনের নাগরিক সেবা বন্ধ করে দেওয়া হবে। সংগঠনগুলো হলো— স্ক্যাভেঞ্জার অ্যান্ড ওয়ার্কার্স ইউনিয়ন,পরিবহন চালক ও শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়ন, বিদ্যুৎ কর্মচারী সমাজ কল্যাণ সমিতি, ৪র্থ শ্রেণী কর্মচারী সমাজ কল্যাণ সমিতি।
এর আগে, গতকাল সোমবার (১৯ মে) ব্লকেড কর্মসূচি পালন করেন আন্দোলনকারী। সোমবার সকাল থেকেই নগর ভবন এলাকায় জড়ো হতে থাকে ঢাকার বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা নগরবাসী। বেলা ১১টার কর্মসূচির আগে থেকেই নগর ভবনের সামনে অবস্থান নেন আন্দোলনকারীরা। পরে বঙ্গমার্কেট এলাকা ব্লকেড করেন তারা। একইসঙ্গে গোলাপ শাহ মাজারের রাস্তাটিও বন্ধ করে দেওয়া হয়। কার্যত সকাল থেকেই অচলাবস্থা ছিল নগর ভবন, পুলিশ হেডকোয়ার্টারসহ আশপাশের এলাকা।
গত শনিবার এবং রোববার সচিবালয় অভিমুখে হাজার হাজার নগরবাসীর অংশগ্রহণে বিক্ষোভ কর্মসূচিও পালন করেন আন্দোলনকারীরা। তাদের অভিযোগ, আদালতের রায়কে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ অন্তর্বর্তী সরকারকে বিতর্কিত করছেন। ইশরাক হোসেনকে মেয়রের শপথের আগ পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা তাদের।