যা বললেন নোবেলের প্রাক্তন স্ত্রী
প্রকাশ : 2025-05-20 16:13:59১ | অনলাইন সংস্করণ
নিউজ ডেস্ক

আলোচিত ও বিতর্কিত গায়ক মাইনুল আহসান নোবেলকে ধর্ষণ, নির্যাতন ও পর্নোগ্রাফি আইনে দায়ের হওয়া মামলায় রাজধানীর ডেমরা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ডেমরা থানার ওসি মাহমুদুর রহমান জানান, এক নারীকে সাত মাস ধরে একটি বাসায় আটকে রেখে নোবেল নির্যাতন ও ধর্ষণ করছিলেন। ওই নারীর পরিবারের ৯৯৯-এ ফোনের পর তাকে উদ্ধার এবং নোবেলকে গ্রেপ্তার করা হয়।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানিয়েছে, ২০১৮ সালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নোবেলের সঙ্গে পরিচয় হয় ইডেন কলেজের এক ছাত্রীর। এরপর তাদের মাঝে মাঝে যোগাযোগ হতো। গত বছরের ১২ নভেম্বর মোহাম্মদপুরে দেখা করার পর ওই ছাত্রীকে ‘স্টুডিও দেখানোর’ কথা বলে ডেমরার বাসায় নিয়ে যান নোবেল। সেখানে তাকে আটকে রাখা হয়। ওই সময় ছাত্রীটির ফোন ভেঙে ফেলা হয়, তাকে মারধর ও ধর্ষণ করা হয়, এমনকি ধর্ষণের ভিডিও মোবাইলে ধারণ করে ব্ল্যাকমেইল করা হচ্ছিল।
সাত মাস ধরে ছাত্রীটি ওই বাসায় বন্দি ছিলেন। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নোবেলের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়, যেখানে তাকে একজন নারীকে সিঁড়ি দিয়ে টেনে হিঁচড়ে নামাতে দেখা যায়। ওই ভিডিও দেখে ছাত্রীর পরিবার তাকে চিনে ফেলেন এবং টাঙ্গাইল থেকে ঢাকায় এসে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ ফোন দেন।
গত ১৯ মে রাত সাড়ে ৯টার দিকে পুলিশ ওই বাসায় অভিযান চালিয়ে সেই ছাত্রীকে উদ্ধার করে। অভিযানের সময় নোবেল পালিয়ে যান, তবে প্রযুক্তির সহায়তায় রাত ২টার দিকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশ আরও জানিয়েছে, নোবেল সীমান্ত পেরিয়ে দেশত্যাগের পরিকল্পনা করছিলেন। এজন্য একটি মাইক্রোবাসও ভাড়া করেছিলেন। তবে পালানোর আগেই তাকে আটক করা হয়।
এদিকে নোবেলকে গ্রেপ্তারের পর মুখ খুলেছেন তার প্রাক্তন স্ত্রী সালসাবিল। নিজের ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে জানিয়েছেন তিনি বর্তমানে দেশের বাইরে রয়েছেন। ওই পোস্টে তিনি লেখেন, ‘আমি বর্তমানে বাংলাদেশের বাইরে অবস্থান করছি। কারও বিরুদ্ধে কোনো প্রকারের মামলা দায়ের করিনি। নোবেলের সঙ্গে আমার অনেক দিন দেখা হয় না ঠিক, কিন্তু ফোনে কথা হয়। আর যে অভিযোগ শুনলাম, ‘সাত মাস ধরে নোবেল আটকে রেখে ধর্ষণ’- আসলে ওর সঙ্গে সাত মাস কারো পক্ষে থাকা সম্ভব এটা আমার বিশ্বাস হয় না। কারণ ও নেশাগ্রস্ত, তাহলে সে কিভাবে কাউকে আটকে রাখবে?’
নোবেল মাদকাসক্ত উল্লেখ করে সালসাবিল বলেন, ‘সে দীর্ঘদিন রিহ্যাবে ছিল। তারপর ছাড়া পেয়েছে। এরপর আমার সঙ্গে কথা হতো, কিন্তু ওর সঙ্গে যে কেউ থাকত সেটা আমি জানতাম না। যেহেতু মামলা হয়েছে, ধর্ষণের- এখন আদালতে প্রমাণ হবে সত্য-মিথ্যা, আমাকেও সেভাবে অপেক্ষা করতে হবে।’
সা