লক্ষ্য একটাই ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হতে হবে: মির্জা ফখরুল ইসলাম

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৪ জুলাই ২০২৫, ১৮:৪৮ |  আপডেট  : ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ০২:৩৪

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আমাদের লক্ষ্য একটাই ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হতে হবে। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক করে নির্বাচনের সময় ঠিক করেছেন। এর কোনো ব্যতিক্রম হবে না।

সোমবার (১৪ জুলাই) রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, যখন প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে তারেক রহমান বৈঠক করে নির্বাচনের সময় ঠিক করেছেন তখন থেকে তাদের মাথা বিগড়ে গেছে।

তিনি বলেন, গণতন্ত্রের প্রশ্নে আমাদের কোনো আপস নেই। আমরা নির্বাচন চাই। যে সিদ্ধান্ত হয়েছে সেই সময়ের মধ্যে নির্বাচন চাই। আমরা মানুষের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দিতে চাই। নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণ করতে চাই আমাদের নেতা তারেক রহমানের নির্দেশে।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, আজকে অনুরোধ করব ধৈর্য ধরে পরিস্থিতি মোকাবিলা করবেন। নেতাদের কাছে অনুরোধ করব- এমন কিছু হতে দেবেন না যাতে আমাদের গণতন্ত্রের শত্রুরা....। যারা তারেক রহমানের বিরুদ্ধে কথা বলে, বিএনপির বিরুদ্ধে কথা বলে তারা গণতন্ত্রের শত্রু। তারা এই দেশের মানুষের শত্রু।

তিনি বলেন, আমি ধিক্কার জানাতে চাই সেই সমস্ত তথাকথিত রাজনৈতিক নেতাদের যারা তারেক রহমানকে নিয়ে অশ্লীল ভাষায় কথা বলছেন। আমরা তাদের বিরুদ্ধে অশ্লীল ভাষায় কথা বলব না। এটা মাথায় রাখতে হবে, আমাদের নেতাকে অশ্লীল কথা বললে তার মান ছোট হয় না। ছোট হয় তারা যারা অশ্লীল ভাষায় কথা বলে।

এসময় ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব বলেন, ‘ছাত্রদলের লাখো নেতাকর্মীকে শান্ত রেখেছি। বিএনপির শীর্ষ নেতাকে নিয়ে অশ্লীল স্লোগান দেওয়ার পরও নেতাকর্মীদের শান্ত রাখা হয়েছে।’

মব কালচারের সঙ্গে সাধারণ শিক্ষার্থীদের কোনো সম্পর্ক নেই দাবি করে রাকিবুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা সতর্ক করে দিচ্ছি, আগামীতে এ ধরনের অস্থিতিশীল কোনো ঘটনায় ক্যাম্পাস ক্রস ইস্যু করা হয় এবং মব ক্রিয়েট করা হয়, এর দায়দায়িত্ব গুপ্ত সংগঠনকে বহন করতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘কয়েক বছর পর যখন এ সরকারকে নিয়ে প্রশ্ন উঠবে, মব নিয়ে জাতির সামনে যখন প্রশ্ন আসবে, ছাত্রশিবির এবং বর্তমান সরকারকে এর দায়দায়িত্ব বহন করতে হবে।’

ছাত্রদল সভাপতি বলেন, ‘গুটিকয়েক শিক্ষার্থী শহীদ রাষ্ট্রপতির জিয়াউর রহমানের ছবি এবং সম্মানহানি করেছে। কিন্তু সাধারণ শিক্ষার্থীরা তাদের পক্ষে অবস্থান গ্রহণ করেনি। আমরা বিশ্বাস করি, ছাত্র সমাজ শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের অবদান এবং আগামীর বাংলাদেশ বিনির্মাণে বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষায় তারেক রহমানের নেতৃত্ব অবশ্যম্ভাবী, সেটি ছাত্রসমাজ অনুভব করে বিধায় এ ফাঁদে পা দেয়নি।’

ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘গত এক সপ্তাহে আরও কয়েকটি জঘন্য হত্যাকাণ্ড হলেও এগুলো নিয়ে গুপ্ত সংগঠনের নেতাকর্মীরা কোনো শিক্ষার্থীকে বিভ্রান্ত করছেন না। শুধু মিটফোর্ডের ঘটনা নিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা করছেন। এমনকি তারা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নামেও বিভিন্ন ‘প্রোপাগান্ডা’ (অপপ্রচার) চালিয়ে যাচ্ছেন।’

নাছির উদ্দিন জানান, এসব অপতৎপরতার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল কর্মসূচি দেওয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে সংগঠনের অবস্থান পরিষ্কার করতে চান। কিন্তু কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা করতে চান না।
 
বেলা সাড়ে তিনটার দিকে নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে পূর্বঘোষিত বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু হয়। মিছিলটি কাকরাইল, মৎস্য ভবন, প্রেসক্লাব, কার্জন হল, টিএসসি হয়ে শাহবাগে গিয়ে শেষ হয়।মিছিলে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা মহানগরসহ রাজধানীর নানা বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ, থানাসহ বিভিন্ন ইউনিটের বিপুল নেতাকর্মী অংশ নেন।

এসময় ‘ইন তারেক রহমান উই ট্রাস্ট’ স্লোগানে উত্তাল হয়ে ওঠে নয়াপল্টন ও আশপাশের এলাকা।এদিকে নয়াপল্টন থেকে শাহবাগ পর্যন্ত মিছিল হওয়ায় এই সড়কে যানচলাচল অনেকক্ষণ বন্ধ ছিলো। ফলে আশপাশের সড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত