শ্রীনগরে ঘন্টার পর ঘন্টা বিদ্যুৎ লোডশেডিংয়ে ভোগান্তি!

  নজরুল ইসলাম, শ্রীনগর (মুন্সীগঞ্জ) প্রতিনিধি:

প্রকাশ: ২ মে ২০২১, ০৯:০৬ |  আপডেট  : ১৩ মে ২০২৫, ১২:১৭

শ্রীনগরে বেশ কিছু দিন ধরে পল্লী বিদ্যুৎ ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের কারণে মানুষের ভোগান্তি বেড়েছে। মাহে রমজান চলাকালীন সময়ে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘন্টার পর ঘন্টা বিদ্যুৎহীন হয়ে পরছে। এতে করে বসতবাড়ি, অফিস ও ব্যবসাসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে মানুষ প্রচন্ড গরম ও তাপদাহে অতিষ্ট হয়ে উঠেছেন। স্থানীয়রা শিশু, বৃদ্ধসহ পরিবার পরিজন নিয়ে অতি গরমে বিদ্যুবিহীন দীর্ঘক্ষণ থেকে অসুস্থ হয়ে পরছেন। এনিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন জনকে পল্লী বিদ্যুৎ সংশ্লিষ্টদের নিয়ে অভিযোগ করতেও দেখা গেছে।  

জানা গেছে, ঘনঘন লোডশেডিং, টেকনিক্যাল সমস্যা, লো-ভোল্টেজ, ওভার লোড, ট্রিপ ও সোর্স লাইন মেরামত ও সংরক্ষণ কাজের অজুহাতে প্রায় দিনই উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ঘন্টার পর ঘন্টা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করা হচ্ছে। অপরদিকে গ্রাহকরা জানতেও পারছেন না কি কারণে বিদ্যুৎ নেই? বিদ্যুৎ সংক্রান্ত বিষয়ে সংশ্লিষ্টরা এলাকায় কোন নোটিশ বা মাইকিংও করেন না। এছাড়াও বিদ্যুৎতের অভিযোগ কেন্দ্রের নম্বর গুলোতে কল করা হলেও বেশীরভাগ সময়ই সংশ্লিষ্টরা ফোন রিসিভ করেন না। এমনটাই অভিযোগ করেন ভূক্তভোগীরা। 

এলাকাবাসী জানায়, ভাগ্যকুল, বাঘড়া এযাবত প্রায় সময়ই বিদ্যুৎ থাকছে না। কোনও কোনও সময় একটানা ১০ ঘন্টা বিদ্যুৎবিহীন থাকছে পুরো এলাকা। গত বুধবার রাতেও সামান্য ঝড়ো হাওয়া শুরুর আগেই বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করা হলেও পরের দিন বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টার দিকে এলাকায় বিদ্যুৎ আসলেও আবার ঘনঘন লোডশেডিং। এছাড়াও বৃহস্পতিবার কুকুটিয়া এলাকার বিভিন্ন স্থানে সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত বিদ্যুৎ ছিলনা। বীরতারায়ও একই অবস্থা। ইডানিং শ্রীনগর সদর এলাকায় দিনের বেশীর ভাগ সময়েই ঘনঘন বিদ্যুৎতের লোডশেডিং হতে দেখা যাচ্ছে। সামন্য বৃষ্টি, ঝড়ো হাওয়ার আভাস হলেই বিজলী গতিতে পল্লী বিদ্যুৎও চলে যেতে দেখা যায়। এনিয়ে পল্লী বিদ্যুৎ গ্রাহকারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে ঝড় তুলছেন। কেউ কেউ লিখছেন পল্লী বিদ্যুৎতের ভেলকিবাজিতে অতিষ্ট উপজেলাবাসী। কেউ লিখছেন করোনা ও মাহে রমজানকালীন সময়ে পল্লী বিদ্যুৎ মানুষের সাথে ফাজলামি শুরু করছেন। কর্তৃপক্ষের উদাসীনতার কারণেই এমনটা হচ্ছে ইত্যাদি মন্তব্য করতেও দেখা যাচ্ছে ফেইসবুকে। 

এব্যাপারে শ্রীনগর পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিসের ডিজিএম মদন গোপাল শাহা’র কাছে এবিষয়ে জানতে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি মোবাইল ফোনটি (০১৭৬৯৪০০২০১) রিসিভ করেন নি।

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত