আদমদীঘিতে ঘুর্ণিঝড় মন্থার প্রভাব, বৃষ্টির পানিতে আমন ফসলের ব্যাপক ক্ষতি

প্রকাশ : 2025-10-30 18:10:47১ |  অনলাইন সংস্করণ

  নিউজ ডেস্ক   

আদমদীঘিতে ঘুর্ণিঝড় মন্থার প্রভাব, বৃষ্টির পানিতে আমন ফসলের ব্যাপক ক্ষতি

বঙ্গপোসাগরের সৃষ্টি লঘুচাপের প্রভাবে বগুড়ার আদমদীঘিতে বৃষ্টি ও ঝড়হাওয়ার কারণে উঠতি আমন ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। গত বুধবার (২৯ অক্টোবর) রাতে উপজেলার বহুসংখ্যক জমির ধান গাছ মাটিতে পড়ে আধা পাকা ধানের শীষ গুলো পানিতে ডুবে গেছে। দু’ এক দিনের মধ্যে পানি শুকিয়ে না গেলে পানিতে পানিতে ভাসমান ধান গুলো পচে নষ্ট হবে বরে কৃষকরা আশংকা করেছেন। এর ফলে আমন ধানের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে না বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন। 

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, আদমদীঘি উপজেলায় চলতি বছরে ১২ হাজার ৫০ হেক্টর জমিতে আমন চাষাবাদ করা হয়েছে। যাহা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি উৎপাদন হবে এমনটিই আশা করছিলেন এ অঞ্চরে কৃষকরা। কিন্তু বিধি বাম গত কয়েক দিনের বৈরি আহাওয়া ও বঙ্গপোসাগরের সৃষ্টি লঘুচাপের প্রভাবে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি ও ঝড়হাওয়ার কারণে উঠতি আধা পাকা আমন ক্ষেতের ফসল পানিতে লুটিয়ে পড়েছে। যাহা এ অঞ্চলের কৃষকদের ব্যাপক ক্ষতি হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। 

কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলার উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় আগাম জাতের বীনা- ১৭, স্বর্ণা-৫ ও ৫১ জাতের ধান রোপন করেছে কৃষকরা। সমুদ্রে লঘুচাপের কারণে গত বৃহস্পতবার (৩০ অক্টোবর) সকালে মুষলধারে বৃষ্টি ও ঝড়হাওয়ার কারণে মাঠের জমিতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এতে উঠতি আধা পাকা আমন ধানের বহুসংখ্যক জমির ধান গাছ মাটিতে পড়ে পানির সাথে বিলিন হয়ে যায়। উপজেলার কেশরতা গ্রামের কৃষক হামিদুল ইসলাম জানান, দু’এক দিনের মধ্যে পানি শুকিয়ে গেলে ক্ষতি কিছুটা কম হবে। নতুবা পড়ে যাওয়া সমস্ত ধান গাছ পচে যাবে। এতে আমন ধানের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্র অর্জন করা সম্ভব হবে না। 

উপজেলা কৃষি অফিসার রবিউল ইসলাম জানান, বঙ্গপোসাগরের সৃষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে আমাদের এই উপজেলায় কিছুটা আমন ফসলের ক্ষতি হয়েছে। কিন্তু দু’চার দিনের মধ্যে পানি শুকিয়ে গেলে পড়ে যাওয়া আমন ধানের তেমন একটা ক্ষতি হবে না বলে জানান এই কৃষি কর্মকর্তা।