আদমদীঘিতে পুরোদমে চলছে ইরি ধান কাটা মাড়াই কাজ
প্রকাশ : 2025-05-04 18:54:20১ | অনলাইন সংস্করণ
নিউজ ডেস্ক

স্বপ্নে বিভোর বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার কৃষকরা। পুরোদমে চলছে ইরি ধান কাটা ও মাড়াইয়ের কাজ। চলতি মৌসুমে অনুকুল আবহাওয়া বিরাজ করায় কৃষকদের চোখে মুখে ফুটে উঠেছে কাক্সিখত আশার ছাপ। নতুন ধানের ম ম গন্ধ ছড়িয়ে পড়েছে চারদিকে। দিনভর নানা ব্যস্ততায় সময় পার করছেন এ অঞ্চলের কৃষকরা। চলতি মৌসুমে ইরি-বোরো ¶েতে তেমন কোন রোগ বালাই না থাকা ও আবহাওয়া অনুকুলে থাকার কারণে ইরি-বোরো ধানের এবার বাম্পার ফলন হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় কৃষকরা। ধানের ফলন গড়ে প্রতি বিঘায় ২০ থেকে ২৫ মণ হারে।
আদমদীঘি উপজেলা কৃষি বিভাগ সুত্রে জানা গেছে, চলতি ইরি বোরো মৌসুমে উপজেলার ৬ ইউনিয়ন ও ১ পৌরসভায় মোট ১২ হাজার ৪’শ ৫০ হেক্টর জমিতে ইরি-বোরো চাষের ল¶্যমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে। উপজেলা কৃষি বিভাগের মতে গত বছর ইরি-বোরোর ফলনের চেয়ে এবার আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় ইরি বোরোর বাম্পার ফলন হয়েছে। উপজেলায় এবার আবাদ হয়েছে জিরাশাইল, সরু জাতের জিরাশাইল, কাটারী সহ বিভিন্ন জাতের ধানের চাষ করা হয়েছে। প্রতি বিঘা জমিতে ধান উৎপাদন করতে জমিতে পানি সেচ, সার, কীটনাশক ও যাবতীয় খরচ বাবদ মোট খরচ হয়েছে প্রায় ১২ থেকে ১৪ হাজার টাকা। প্রতি বিঘায় গড়ে ধান উৎপাদন হচ্ছে প্রায় ২০ থেকে ২৫ মণ হারে। বর্তমানে আদমদীঘিতে ধানের দর প্রকার ভেদে প্রতি মণ ১১৫০ থেকে ১২৮০ টাকা। সেই হিসাবে প্রতি বিঘা জমিতে উৎপাদিত ধানের মূল্য প্রায় ২২ থেকে ২৫ হাজার টাকা। এতে কৃষকদের প্রতি বিঘা জমিতে লাভ থাকছে প্রায় ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা।
উপজেলা সদরের কেশরতা গ্রামের কৃষক জিল্লুর রহমান জানান, এবারে ধানের আবাদ করে লাভ পাওয়ায় বেশ খুশি এ অঞ্চলের কৃষকরা। তিনি আরোও বলেন, বিগত কয়েক বছর ধরে ধানের ন্যায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত কৃষকরা। তবে এবার ফলনও ভাল ও দাম বেশি পেলে আমরা ভীষন খুশি হবে।
আদমদীঘি উপজেলা কৃষি অফিসার মিঠু চন্দ্র অধিকারী জানান, এ বছর ধানের বাম্পার ফলন ও দাম বেশি পাওয়ায় এ অঞ্চলের কৃষকরা ধান চাষে আরোও বেশী উৎসাহি হয়ে উঠবে। তিনি আরোও জানান, চলতি মৌসুমে আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় রোগ বালাইও কিছুটা কম ছিল। তবে জমিতে ধান পাকলে দেরি না করে তরিঘরি করে ধান কেটে ঘরে তোলার পরামর্শ দেন উপজেলা কৃিষ অফিসার।