কাউনিয়া মানাস নদী কচুরিপানায় ভর্তি, কর্তৃপক্ষ নিরব দর্শক

প্রকাশ : 2025-10-30 16:45:53১ |  অনলাইন সংস্করণ

  নিউজ ডেস্ক   

কাউনিয়া মানাস নদী কচুরিপানায় ভর্তি, কর্তৃপক্ষ নিরব দর্শক

মানাস নদী তিস্তা নদীর একটি শাখা নদী হিসেবে নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ কুড়িপাড়া গ্রাম থেকে উৎপত্তি হয়ে রংপুরের গঙ্গাচরা, কাউনিয়া, পীরগাছা এবং গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর হয়ে যমুনায় মিশেছে। মানাস নদীটি রংপুরের লক্ষীটারী, গজঘন্টা, মর্নেয়া এবং কাউনিয়ার সারাই, হারাগাছ, কুর্শা, শহীদবাগ, বালাপাড়া ও টেপামধুপুর ইউনিয়ন হয়ে পীরগাছার অন্নদানগর ও কান্দি হয়ে দিয়ে প্রবাহিত হয়ে। গাইবান্ধায় যমুনা নদীতে মিলিত হয়। 

সরেজমিনে কাউনিয়ার মানসনদী এলাকা ঘুরে দেখা গেছে উৎপত্তি স্থল থেকে প্রায় শেষ পর্যন্ত কচুরিপানায় ভর্তি হয়ে গেছে। কচুরি পানা অপসারনে কৃষি অধিদপ্তরের কোনো উদ্যোগ নেই। ফলে চলতি মৌসুমে শতশত হেক্টর জমি অনাবাদি থাকার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। বোরো মৌসুমে হারাগাছ থেকে শুরু করে টেপামধুপুর ইউনিয়ন পর্যন্ত মানাস নদীর বুকে ধান চাষ করে হাজার হাজার মেট্রিক টন ধান উৎপাদন করে এলাকার চাষিরা। বর্তমানে মানাস নদীতে বিস্তীর্ণ জমি এখন কচুরিপানা আর আগাছায় ভরপুর। গত বোরো মৌসুমে মানস নদীর বুকে প্রচুর ধান চাষ হয়েছে। মানাস নদীর ধান দিয়ে এলাকার মানুষের অর্ধেক চাহিদা পুরন হয়। চলতি বোরো মৌসুমে নদীর বুক জুরে বিস্তীর্ণ জমি কচুরিপানা আর আগাছায় ভরে যাওয়া ধান চাষ না হওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। কিছু জমিতে এখন গরু ছাগল মহিষের পাল চড়ে বেড়ায়। টেপামধুপুর ইউনিয়নের নিলাম খরিদা সদরা গ্রামের কৃষক সাখাওয়াত খাঁ জানান কাউনিয়ায় প্রায় ৩৩ কিলোমিটার দীর্ঘ মানাস নদীটির প্রকৃত সীমানা নির্ধারন করে সঠিক পদ্ধতিতে খনন করা হলে এক দিকে যেমন এলাকার মাছের চাহিদা পুরন হবে অন্য দিকে ধানসহ বিভিন্ন রবিশষ্য চাষ দ্বিগুন বেরে যাবে। বর্তমানে কচুরিপানার কারনে অনাবাদি হয়ে পড়ে আছে বহু জমি সেই সাথে মাছের উৎপাদন নেই বললেই চলে। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, আবাদি জমির পরিমাণ ১২ হাজার ৪৬৯ হেক্টর। এর মধ্যে এক ফসলি জমির মানাস নদীতে আছে। এক সময় মানাস নদীতে প্রচুর পমিানে মাছ পাওয়া ওযত সেই সাথে ব্যাপক ধান চাষ হত। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তানিয়া আকতার বলেন, মানাস নদী সঠিক সীমানা নির্ধারন করে সঠিক পদ্ধতিত খনন করলে ধান চাষের জমি বৃদ্ধি পাবে এবং কৃষক চাষ করতে পারবে। পানা পরিস্কারের বিষয়টি সমন্বয় সভায় উৎথাপন করবো। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মহিদুল হক বলেন, চাষযোগ্য জমি অনাবাদি ফেলে রাখা যাবে না। বিষয়টি কৃষি ও মৎস্য কর্মকর্তার সাথে কথা বলে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।