গুম সংক্রান্ত কমিশনের দ্বিতীয় অন্তর্বর্তীকালীন প্রতিবেদন প্রকাশ
প্রকাশ : 2025-06-25 11:43:54১ | অনলাইন সংস্করণ
নিউজ ডেস্ক

অন্তর্বর্তী সরকার কর্তৃক গঠিত গুম সংক্রান্ত কমিশন জানিয়েছে, ক্ষমতাচ্যুত সরকারের আমলে সংঘটিত গুমের ঘটনাগুলোর পেছনে ব্যক্তিগত অসদাচরণের চেয়ে প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কৃতির একটি ‘পদ্ধতিগত সমস্যা’ কাজ করেছে। কমিশনের কাছে এ পর্যন্ত গুম সংক্রান্ত ১ হাজার ৮০০ অভিযোগ জমা পড়েছে।
বাসসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে— কমিশনের দ্বিতীয় অন্তর্বর্তীকালীন প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এটি প্রতীয়মান হচ্ছে, এমন একটি পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছিল, যেখানে এই ধরনের অপরাধগুলোকে নীরবে প্রশ্রয় দেওয়া হতো। যেসব ব্যক্তি এসব অপরাধ করতেন, তাদের প্রকৃত অর্থে অপরাধী হিসেবে গণ্য করা হতো না।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে গুমের ঘটনার তথ্য নথিভুক্ত করেছিল বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা। কমিশন এমন সাতটি নথি পর্যালোচনা করেছে, যেগুলোর ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে গুমসহ গুরুতর অপরাধে জড়িত থাকার ‘প্রাথমিক সাক্ষ্য প্রমাণ’ পাওয়া গেছে। এসব গুমের ধরন থেকে স্পষ্ট হয়েছে, এগুলো কোনো ব্যক্তির একক কর্মকাণ্ড ছিল না, বরং বিভিন্ন ইউনিটের একাধিক সদস্য এতে জড়িত ছিলেন।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ওই সময় ব্যাপক হারে গুমের ঘটনা ঘটলেও পর্যালোচনায় থাকা নথিগুলোতে ‘গুম’ শব্দটিরও উল্লেখ নেই। নথিগুলোতে বরং বিস্তারিতভাবে লেখা ছিল সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা। এমনকি তাদের আত্মীয়-স্বজনের রাজনৈতিক পরিচয় সম্পর্কেও লেখা ছিল। এসব নথিতে দুর্নীতি, শৃঙ্খলাভঙ্গ বা অসদাচরণের অভিযোগের মতো বিষয়গুলো থাকলেও গুম বা বিচারবহির্ভূত হত্যার কোনো বিষয় উল্লেখ নেই।
কমিশন পর্যবেক্ষণ করে বলেছে, বাহিনীগুলোর ভেতরে এমন গুরুতর অভিযোগ নিয়ে ‘নীরবতা’ বজায় রাখাটা সম্ভবত একটি বৃহত্তর ‘অপারেশনাল ম্যান্ডেট’-এর অংশ ছিল—যা বাহিনীর অভ্যন্তরে ‘জাতীয় নিরাপত্তা ও জনশৃঙ্খলা রক্ষার’ অজুহাতে গ্রহণযোগ্য বলে বিবেচিত হতো।
সূত্র : বাসস।