তেতুলিয়ায় সরকারি টিআর, কাবিখা প্রকল্পের চালের গুদামঘরে সিলগালা, একজন আটক

প্রকাশ : 2025-06-16 16:18:46১ |  অনলাইন সংস্করণ

  নিউজ ডেস্ক   

তেতুলিয়ায় সরকারি টিআর, কাবিখা প্রকল্পের চালের  গুদামঘরে সিলগালা, একজন আটক

পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলায় টিআর ও কাবিখা প্রকল্পের চাল জব্দ করেছে প্রশাসন। একইসঙ্গে গুদামঘরে সিলগালাসহ এ ঘটনায় একজনকে আটক করা হয়েছে৷
এদিকে জব্দের একদিন পর রোববার (১৫ জুন) দুপুরে তেঁতুলিয়া মডেল থানায় উপজেলা খাদ্য পরিদর্শক রুবেল হোসেন বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। পরে মামলায় গুদামের ম্যানেজার  সাদেকুল ইসলামকে গ্রেফতার দেখানো হয়।

এর আগে শনিবার (১৪ জুন) গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পৃথক দুটি স্থানে অভিযান চালিয়ে কয়েক শতাধিক বস্তা চাল, খালি বস্তা, মোড়ক পরিবর্তনের সরঞ্জামাদি, মোবাইল ফোন এবং সেলাই মেশিন জব্দ করা হয়। এককইসঙ্গে গুদামঘরে সিলগালা করা হয়।

অভিযানে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আফরোজ শাহীন খসরুর নেতৃত্বে পরিচালিত এ অভিযানে অংশ নেন উপজেলা খাদ্য পরিদর্শক মো. রুবেল হোসেন এবং তেঁতুলিয়া মডেল থানার একটি টিম।

অভিযান সূত্রে জানা যায়, উপজেলার সদর ইউনিয়নের আজিজ নগর এলাকার ফিরোজা বেগমের চাতাল ও গুদামঘর এবং তেঁতুলিয়া চৌরাস্তা বাজারের মেসার্স সহিদুল রাইস এজেন্সির গুদামে এই অভিযান চালানো হয়। এসময় সরকারি প্রকল্পের শতাধিক বস্তা চাল, খালি বস্তা ও চালের মোড়ক জব্দ করা হয়। স্থানীয়া বলছেন গুদামঘরগুলো ভাড়া নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে ব্যবসায়ী সহিদুল ইসলাম চাল,ধান,গম,ভূ্ট্টাসহ বিভিন্ন কৃষি পণ্য ব্যবসা করে আসছেন৷

তবে অভিযুক্ত ব্যবসায়ী সহিদুল ইসলাম দাবি করেন, তিনি বিভিন্ন সময় জনপ্রতিনিধি ও প্রকল্প সভাপতিদের কাছ থেকে সরকারি বরাদ্দের চাল কিনে বৈধভাবে পাইকারি ও খুচরা বিক্রি করতেন। তার ভাষ্য অনুযায়ী, প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ জোগাড় করতে সংশ্লিষ্টরা চাল বিক্রি করে থাকেন এবং তিনিও বৈধভাবে কাগজপত্র দেখে ক্রয় করেন।

এবিষয়ে সহিদুল ইসলাম নামে ওই ব্যবসায়ী জানান,সরকারী প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ হওয়া চাল প্রকল্পের সভাপতি ও জনপ্রতিনিধিরা পাওয়ার পর বিক্রি করে তারা প্রকল্প বাস্তবায়নাহ বিভিন্ন উন্নয়ন মূলক কাজ করেন। আর আমরা তাদের কাছে বৈধ ভাবে ক্রয় করে পরে খুচরা ও পাইকরী বিক্রি করি। আমাদের কাগজপত্র,সরকারী লাইসেন্স রয়েছে৷

তেঁতুলিয়া খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ( ওসিএলএসডি)রুবেল হোসেন বলেন, অভিযান চালিয়ে সরকারী চালসহ একজনকে আটক করা হয়। পরবর্তীতে আটকসহ গুদামের মালিকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

তবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আফরোজ শাহীন খসরু বলেন, “অভিযানে গিয়ে সরকারি চালসহ বিপুল পরিমাণ খালি বস্তা ও মোড়ক পরিবর্তনের আলামত পাওয়া গেছে। গুদামের মালিক বৈধ কোনো কাগজপত্র দেখাতে না পারায় গুদামগুলো সিলগালা করা হয়েছে এবং আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

প্রশাসনের  পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এ ঘটনায় আরও কেউ জড়িত আছে কি না, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তবে স্থানীয়রা বলছেন,তেঁতুলিয়ায় বরাদ্দ হওয়া টিআর,কাবিখাসহ বিভিন্ন বরাদ্দের চাল ও গম সিন্ডিকেট করে প্রভাব দেখিয়ে ও কম দামে ক্রয় করে পরবর্তীতে ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি হচ্ছে। আর এর সাথে জ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা( পিআইও) অফিসের দুই একজন কর্মচারী জড়িত।

কা\আ