পঞ্চগড়ে ইউপি সদস্য পারভীন আক্তার    

প্রকাশ : 2025-06-14 19:24:25১ |  অনলাইন সংস্করণ

  নিউজ ডেস্ক   

পঞ্চগড়ে ইউপি সদস্য পারভীন আক্তার    

স্বামী স্কুল শিক্ষক তিনি পঞ্চগড় সদর উপজেলার হাড়িভাসা ইউনিয়নের ইউপি সদস্যা। অথচ দীর্ঘদিন যাবত নিজ ক্ষমতার অপব্যবহার করে নিজের নামে ও তার পূত্রবধূর নামে কার্ড নিয়ে ভালনারেবল উইমেন বেনিফিট (ভিডব্লিউবি) কর্মসূচির আওতায় গরীব ও হত দরিদ্র অসহায় মানুষের জন্য বরাদ্দকৃত চাল গত আড়াই বছর ধরে তুলে নিয়ে আতœসাত করে আসছেন পারভীন আক্তার। তিনি ওই হাড়িভাসা ইউনিয়নের  ইউপি সদস্যা।

সম্প্রতি স্থানীয়দের অভিযোগের ভিত্তিতে তার ও পূত্রবধুর নামে বরাদ্দ আসা ১০ বস্তা চাল আটকে দিয়েছেন ইউপি চেয়ারম্যান। চাল গুলো বর্তমান ইউনিয়ন পরিষদের হেফাজতে রয়েছে।অভিযুক্ত ওই মহিলা ইউপি সদর উপজেলার হাড়িভাসা ইউনিয়নের ৪, ৫ ও ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত আসনের নির্বাচিত সদস্যা। তিনি ইউনিয়নের গোয়ালপাড়া গ্রামের স্কুলশিক্ষক রফিজ উদ্দীনের স্ত্রী।তথ্য মতে, পারভীন আক্তার গত আড়াই বছর ধরে নিজের ও পুত্রবধূ মায়া আক্তারের নামে ভিডব্লিউবি কর্মসূচির চাল উত্তোলন করে আসছিলেন। এ পর্যন্ত তিনি দুই নামে ৫৮ বস্তা চাল উত্তোলন করেছেন। একেকটি বস্তায় চাল ছিলো ৩০ কেজি । এর মধ্যে ১০ বস্তা চাল জব্দ রয়েছে। অর্থ্যাৎ, এই ১০ বস্তাা বাদে ও গত আড়াই বছরে মোট ৪৮ বস্তায় এক হাজার ৪৪০ কেজি চাল উত্তোলন করে আতœসাত করেছেন।স্থানীয়দের অভিযোগ, পারভীন আক্তার পূর্বে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন এবং সেই প্রভাব দেখিয়ে উপকারভোগীর তালিকায় নিজের নাম যুক্ত করেছেন। শুধু এটাই না, এই মহিলা ইউপি সদস্যা এসব সুবিধা দিতে উপকারভোগিদের কাছে ৫ থেকে ১০ হাজার করে টাকাও নিয়েছেন। আবার অনেকের কাছে টাকা নিয়েও এসব কর্মসূচির আওতাভুক্ত করেননি।স্থানীয় ফরিদার রহমান বলেন, এসব চাল গরীব ও অসহায়দের জন্য হলেও মহিলা মেম্বার দায়িত্বে থেকে আত্মসাত করেছেন। তার পরিবার আর্থিকভাবে স্বচ্ছল। তার স্বামী একজন স্কুলশিক্ষক এবং তার ছেলের কয়েকটি ট্রাক্টর রয়েছে। যেখানে, অনেক গরীব-অসহায়রা এসব সরকারি সুবিধা থেকে বঞ্চিত।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত ইউপি সদস্য পারভীন আক্তার বলেন, তখন দলীয় সিদ্ধান্তে নিজের দুইটা নাম দিয়েছিলাম। তিনি এক প্রশ্নের উত্তরে বলেন, আমার ভুল হয়েছে। মানুষের ভূল হতে পারে। আর আমি তো চাল বিতরনের সময় পরিষদে যাইনা। এ বিষয়ে চেয়ারম্যানকে বলেন। 

হাড়িভাসা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান সাইয়েদ নূর-ই-আলম বলেন, মহিলা মেম্বার এবং তার ছেলের বউয়ের নামে আসা ১০ বস্তা চাল আমরা জব্দ করেছি। মামলা ও হওয়ার কথা ‘ তবে এটি তদন্ত করছেন জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা। তাছাড়া আমি ওনাকে আগেই বলেছি এসব গরীবের হক তিনি আমার কথা শোনেননি। খুব ডেয়ারিং মহিলা।এ বিষয়ে পঞ্চগড় সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জাকির হোসেন বলেন, এ বিষয়ে জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তাকে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে‘ বিষয়টি প্রক্রিয়াধিন। এবিষয়ে জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকতার্র মুঠো ফোনে একাধিকবার ফোন দিলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।