সাকিবকে বলেছিলেন মেজর হাফিজ, ‘আর যা-ই কোরো আ. লীগে যোগ দিও না’ 

প্রকাশ : 2025-05-03 19:12:36১ |  অনলাইন সংস্করণ

  নিউজ ডেস্ক   

সাকিবকে বলেছিলেন মেজর হাফিজ, ‘আর যা-ই কোরো আ. লীগে যোগ দিও না’ 

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের টিকিটে মাগুরা থেকে সংসদ সদস্য হন বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। হাসিনা সরকারের পতনের পর জনতার ক্ষোভের কারণে দেশের মাটিতে এখনো ফিরতে পারেননি এক সময়ের নাম্বার ওয়ান অলরাউন্ডার। তবে সাকিবকে রাজনীতিতে এলেও আওয়ামী লীগে যোগ না দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক জাতীয় ফুটবলার মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমদ।

শনিবার (৩ মে) ঢাকা জাতীয় স্টেডিয়াম লাগোয়া এনএসসি টাওয়ারে বাংলাদেশ জেলা ও বিভাগীয় ক্রীড়া সংগঠক অ্যাসোসিয়েশনের আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠান উপলক্ষে কথা বলতে গিয়ে মেজর হাফিজ কথা প্রসঙ্গে সাকিবের ইস্যু টেনে আনেন।

সাবেক এই ফুটবলার বলেন, ‘আমি সাকিব আল হাসানকে খেলোয়াড়ি জীবনের ইতি না টেনে রাজনীতিতে জড়াতে না করেছিলাম। বিশেষ করে আওয়ামী লীগে যোগদান করতে নিষেধ করেছিলাম। কারণ আমি খুব ভালো করে জানতাম আওয়ামী লীগ কতটা ফ্যাসিস্ট দল।’

রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার আগে তার সঙ্গে দেখা করা ও আলোচনার বর্ণনা দিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, ‘তখনো সাকিব রাজনীতিতে জড়াননি।

একজন সাবেক ক্রীড়াবিদ, সাবেক জাতীয় ফুটবলার হিসেবে রাজনীতিতে আনুষ্ঠানিকভাবে জড়ানোর আগে একদিন আমার সাথে দেখা করে তার রাজনীতি করার ইচ্ছে বা অভিপ্রায় ব্যক্ত করেছিল। আমি তখন তাকে খেলোয়াড় থাকা অবস্থায় রাজনীতিতে না জড়ানোর অনুরোধ করি। আমি তাকে জানাই, তুমি একজন ভালো ক্রিকেটার। দেশ-বিদেশে তোমার বেশ সুনাম আছে।

তোমার এখন রাজনীতিতে না জড়ানোই উত্তম।’তিনি বলেন, ‘কথোপকথনের এক পর্যায়ে আমি সাকিবকে আওয়ামী লিগের ফ্যাসিবাদী চরিত্র তুলে ধরে সোজাসাপ্টা জানাই, আর যা-ই কোরো আওয়ামী লীগে যোগদান কোরো না। আওয়ামী লীগের নেতিবাচক দিক আমার খুব ভালো জানা। আমি নিজে খেলোয়াড়ি জীবনেও আওয়ামী লীগের অন্যায়, জুলুমের শিকার হয়েছি। কাজেই আমি জানি আওয়ামী লীগ কতটা নেতিবাচক দল।

তিনি আরো বলেন, ওই সময় সাকিবের মুখ দেখে মনে হয়েছে আমার পরামর্শ মোটেও ভালো লাগেনি তার। সে মুখ ফুটে কিছু না বললেও খানিকক্ষণ নীরব থেকে চলে গেল নিজের ঠিকানায়। এর কিছুদিন পর শুনলাম, দেখলাম এবং জানলাম সাকিব আওয়ামী লীগে যোগ দিয়েছে এবং আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য হয়েছে। এর পরের ঘটনা সবার জানা। আজ সাকিব ধিকৃত। দেশে ফিরতে পারছে না।’

হাফিজ মনে করেন, আওয়ামী লীগে যোগ দিয়েই সাকিব গণধিক্কারের শিকার হয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, সাকিব যদি আওয়ামী লীগে যোগ দিয়ে দলটির সংসদ সদস্য না হতো, তাহলে আজও সে সম্মানের সাথে দেশে থাকতে এবং খেলতে পারত। এ রকম গণধিক্কারের শিকার হতো না এবং সুনাম ও সম্মানের সাথে অবসর নিতে পারত।’