একজন ভ্রমণপ্রিয় মানুষ এবং তার গ্রন্থ

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৮ অক্টোবর ২০২২, ১৫:১৭ |  আপডেট  : ৩১ অক্টোবর ২০২৪, ১৯:০৯

ফাইল ছবি

কমবেশি সবাই ভ্রমণ করতে পছন্দ করে। সেটি যদি হয় পাহাড় ,সমুদ্র, বন অথবা কন ঐতিহাসিক বা তীর্থস্থান। সবকিছুরই নিজস্ব আবেদন আছে। যা যুগে যুগে বহু ভ্রমণ পিপাসুকে আকৃষ্ট করেছে। যাকে ঘিরে গড়ে উঠেছে বহু উপন্যাস, প্রবন্ধ, গান। প্রকৃত ভ্রমন পিপাসুকে বিরূপ আবহাওয়া অথবা দূর্গম পথ কিছুই আটকাতে পারেনা। ভ্রমণকারী শুধু ঘুরে বেড়ায়না সে উপলব্ধি করে। যে যত বেশি ভ্রমণ করে সে নিজেকে তত বেশি আবিষ্কার করে। তাদের মধ্যে শঙ্কু মহারাজ একজন। 

শঙ্কু মহারাজ (৭ মার্চ ১৯৩১ - ১৮ অক্টোবর ২০০৪; আসল নাম জ্যোর্তিময় ঘোষদস্তিদার) হলেন বাংলা সাহিত্যে সুপরিচিত ভ্রমণ কাহিনিকার।

শঙ্কু মহারাজের জন্ম ১৯৩১ খ্রিস্টাব্দের ৭ই মার্চ অধুনা বাংলাদেশের বরিশালে। পিতার নাম হরিপদ ঘোষদস্তিদার। বাল্যকালে তার পড়াশোনা শুরু স্থানীয় ব্রজমোহন স্কুলে ও ব্রজমোহন কলেজে। দেশবিভাগের পর কলকাতায় চলে আসেন এবং কলকাতার বঙ্গবাসী কলেজ থেকে স্নাতক হন। এরপর কলকাতার এক সওদাগিরি অফিসে চাকরি নেন। তারপরে ১৯৬০ খ্রিস্টাব্দ থেকে ১৯৮৮ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত সরকারি অফিসে কাজ করেন। কিন্তু তিনি ব্যক্তিগত জীবনে পর্বতারোহী ছিলেন।বহুবার হিমালয় অভিযানে গেছেন। ট্রেকিংএ বেরিয়ে পড়তেন। ১৯৯০ খ্রিস্টাব্দ হতে ১৯৯৬ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত তিনি পশ্চিমবঙ্গ ভ্রমণ উন্নয়ন নিগমের মনোনীত সদস্য ছিলেন।

শঙ্কু মহারাজ তার অনবদ্য রচনায় সমৃদ্ধ করেছেন বাংলার ভ্রমণ সাহিত্য সম্ভার। তিনি দীর্ঘ সাতাশ বছরের সাহিত্য জীবনে চল্লিশটিরও বেশি ভ্রমণ-সাহিত্য রচনা করেছেন। প্রথম ভ্রমণ বৃত্তান্ত সংবলিত বইটি হল 'বিগলিত করুণা জাহ্নবী যমুনা'। হিমালয়কে নিয়ে তার পনেরোটি ভ্রমণ কাহিনী। তার মধ্যে শেষ খানি হল ব্রহ্মলোকে।

শঙ্কু মহারাজে প্রকাশিত গ্রন্থগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল 

'বিগলিত করুণা জাহ্নবী যমুনা'
'হিমালয়'
'শঙ্কু মহারাজের শ্রেষ্ঠ গল্প'
'ত্রিপুরা-তীর্থে '
'ভ্রমণে ভারত' 
'দখিন-দেশে'
'দেশের মাটি'
'গজমোতি গোয়া'
'এক ফরাশী নগরে'
'মায়াময় মেঘালয় '
'মধুবৃন্দাবনে'
'বৈষ্ণোদেবীর দরবারে'
'বেলজিয়াম থেকে বাভেরিয়া'
'উর্বশী এথেন্স'
'যদি গ্রহণ না হ'ত'
'কুম্ভমেলায়'
'অমরতীর্থ অমরনাথ '
'হিমতীর্থ হিমাচল'
'রাজভূমি রাজস্থান'
'পুণ্যতীর্থ প্রভাস'
'বেলাভূমি লাহূল'
'গঙ্গাযমুনার দেশে'
'ভাঙা দেউলের দেবতা'
'দ্বারকা ও প্রভাসে'
'অলকাপুরী আসাম'
অমরাবতী আসাম'
'চতুরঙ্গীর অঙ্গনে'
'ব্রহ্মলোকে'
'সংহতি : পথে পথে'
'চরণরেখা'
'গঙ্গাসাগর'
'নীল দুর্গম'
'তমসার তীরে তীরে'
'সোনা সুরা ও সাকী'
'পঞ্চপ্রয়াগ'
'যুদ্ধং শরণং গচ্ছামি'
মৃত্যু

শঙ্কু মহারাজ তথা জ্যোতির্ময় ঘোষদস্তিদার ৭৩ বৎসর বয়সে ২০০৪ সালের ১৮ অক্টোবর কলকাতায় মৃত্যুবরণ করেন।

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত