বৈশ্বিক সংঘাত নিয়ে পুতিনের সতর্কতা
প্রকাশ: ১০ মে ২০২৪, ০৯:২৫ | আপডেট : ৩০ অক্টোবর ২০২৪, ০৪:২৩
পশ্চিমাদের বিরুদ্ধে বৈশ্বিক সংঘাতের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। বৃহস্পতিবার (৯ মে) নাৎসি বাহিনীর বিরুদ্ধে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ জয়ের উপলক্ষে দেয়া এক ভাষণে তিনি এ কথা বলেন।
পশ্চিমাদের পৃষ্ঠপোষকতা সত্ত্বেও ইউক্রেন সেনাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধক্ষেত্রে এগিয়ে চলেছেন রুশ সেনারা। এ পরিস্থিতিতে দেওয়া বক্তব্যে ‘অহংকারী’ পশ্চিমা অভিজাতদের বিরুদ্ধে নাৎসি বাহিনীকে পরাজিত করার ক্ষেত্রে সোভিয়েত বাহিনীর ভূমিকা ভুলে যাওয়ার অভিযোগ করেছেন পুতিন। পাশাপাশি পশ্চিমারা আবার দুনিয়াজুড়ে সংঘাত ছড়িয়ে দেওয়ার উসকানি দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।
মস্কোর রেড স্কয়ারে সেনা সমাবেশের ওই অনুষ্ঠানে পুতিন বলেন, এ ধরনের উচ্চাভিলাষ কী ধরনের পরিণতির দিকে নিয়ে যায়, তা আমরা জানি। বৈশ্বিক সংঘাত প্রতিরোধে রাশিয়া সবকিছু করবে। কিন্তু একই সঙ্গে আমরা কাউকে আমাদের হুমকি দেওয়া বরদাশত করব না। আমাদের স্ট্র্যাটেজিক ফোর্স (পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের দায়িত্বে নিয়োজিত বাহিনী) সব সময় যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত রয়েছে।
২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সেনা অভিযান চালানো পুতিন এই যুদ্ধকে দেখছেন পশ্চিমাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের অংশ হিসেবে। ১৯৮৯ সালে বার্লিন দেওয়াল পতনের পর এই ঘটনা রাশিয়াকে অবমাননার মুখে ফেলেছে বলে মনে করেন তিনি।
ইউক্রেন ও পশ্চিমারা পুতিনের বিরুদ্ধে সাম্রাজ্য বিস্তারের মতো ভূমি দখলের অভিযোগ করে আসছে। এ যুদ্ধে রাশিয়াকে পরাজিত করার অঙ্গীকার করেছে তারা। বর্তমানে ক্রিমিয়া উপদ্বীপ ও পূর্ব ইউক্রেনের চারটি অঞ্চলের বড় অংশ মিলিয়ে ইউক্রেনের ১৮ শতাংশ এলাকা রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। পুতিন বলছেন, একসময় রাশিয়া সাম্রাজ্যের অংশ এসব এলাকা আবার রাশিয়ার সঙ্গে অঙ্গীভূত হয়েছে।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে সোভিয়েত ইউনিয়নের ২ কোটি ৭০ লাখ মানুষের প্রাণ গিয়েছিল। তাদের মধ্যে কয়েক লাখ ছিলেন ইউক্রেনের বাসিন্দা। কিন্তু সোভিয়েত বাহিনী যুদ্ধে নাৎসি বাহিনীকে পিছু হটিয়ে বার্লিনে ফিরে যেতে বাধ্য করে। একপর্যায়ে বার্লিনে আত্মহত্যা করেন এডলফ হিটলার। ১৯৪৫ সালের ওই সময়ে বার্লিনে ওঠে সোভিয়েত ইউনিয়নের বিজয় পতাকা।
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত