মঙ্গল শোভাযাত্রায় অন্ধকার দূর করার প্রত্যয়
প্রকাশ: ১৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১:৫৩ | আপডেট : ৩০ অক্টোবর ২০২৪, ১১:১৯
বাংলা ১৪৩১ সালকে বরণ করে নিতে মঙ্গল শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এবারের শোভাযাত্রার স্লোগান ছিল ‘আমরা তো তিমিরবিনাশী’।
রোববার (১৪ এপ্রিল) সকাল ৯টা ১৫ মিনিটে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) চারুকলা অনুষদ থেকে মঙ্গল শোভাযাত্রা শুরু হয়। এতে নেতৃত্ব দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড এ এস এম মাকসুদ কামাল।
সমাজকল্যাণমন্ত্রী দীপু মনি, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম ও ডিএমপি কমিশনার এতে অংশ নেন। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন স্তরের মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে এ শোভাযাত্রায় অংশ নেয়।
মঙ্গল শোভাযাত্রাকে কেন্দ্র করে পুরো এলাকা কঠোর নিরাপত্তার চাদরে মোড়ানো ছিল। মাঝপথে কারও শোভাযাত্রায় অংশ নেওয়ার সুযোগ ছিল না। কারণ চতুর্দিকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সমন্বয়ে মানবপ্রাচীর গঠন করা হয়।
শোভাযাত্রাটি শাহবাগ মোড় হয়ে শিশুপার্কের সামনে দিয়ে ঘুরে ফের শাহবাগ হয়ে টিএসসিতে গিয়ে শেষ হয়। এ আয়োজনের পরবর্তী অংশে চারুকলার বকুলতলার মঞ্চে বিকেল ৫টা পর্যন্ত চলবে বাউল গান।
এর আগে সকাল সাড়ে ৮টার দিকে মঙ্গল শোভাযাত্রায় প্রদর্শনীর জন্য বিভিন্ন মুখোশ, ঘোড়া, মূর্তি, ট্যাপা পুতুল, নকশি পাখিসহ বিভিন্ন প্রাণীর প্রতিকৃতি শোভাযাত্রার জন্য প্রস্তুত করা হয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের শিক্ষার্থীদের আয়োজনে প্রাক্তন শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের সহযোগিতায় প্রতিবছরই পহেলা বৈশাখে ঢাকা শহরের শাহবাগ-রমনা এলাকায় এই আনন্দ শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয়। বাংলাদেশ সরকারের সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের আবেদনক্রমে ২০১৬ সালের ৩০ নভেম্বর বাংলাদেশের ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’ জাতিসংঘ সংস্থা ইউনেস্কোর মানবতার অধরা বা অস্পর্শনীয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তালিকায় স্থান লাভ করে।
১৯৮৯ সালে চারুকলা অনুষদের উদ্যোগে প্রথমবারের মতো বের হয়েছিল আনন্দ শোভাযাত্রা, যা দ্রুতই জনপ্রিয় হয়ে ওঠে বাংলাশের মানুষের কাছে।
পরে ১৯৯৬ সালে এর নাম পরির্বতন করে ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’ রাখা হয়। এরপর থেকে মঙ্গল শোভাযাত্রা বাংলা বর্ষবরণের অন্যতম অনুষঙ্গ হয়ে ওঠে। ২০১৬ সালের ৩০ নভেম্বর ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যের স্বীকৃতি পায় এ শোভাযাত্রা।
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত