মালয়েশিয়ার দূর্ঘটনায় নিহত শ্রমিকদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে বাংলাদেশ হাইকমিশন

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ৩০ নভেম্বর ২০২৩, ১১:০২ |  আপডেট  : ৩১ অক্টোবর ২০২৪, ১৯:৩৬

মালয়েশিয়ার পেনাং রাজ্যে তিন বাংলাদেশি নির্মাণশ্রমিক একটি নির্মাণাধীন ভবন ধসে নিহত হয়েছেন। নিহতদের মরদেহ বাংলাদেশে পাঠানোর জন্য তাদের পরিবারের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছে হাইকমিশন।

নিহতরা হলেন—১. মোহাম্মদ মোকাদ্দেশ আলী (পাসপোর্ট নম্বর- ইজে০৯১৫৩৬৩)। তিনি বগুড়া জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার হরিপুর গ্রামের মো. আফসার আলীর ছেলে। ২. মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম (পাসপোর্ট নম্বর- ইএইচ০৭৩০২২৪)। তিনি কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার লক্ষ্মীপুর গ্রামের রওশন আলী ছেলে এবং ৩. মো. আহাদ আলী (পাসপোর্ট নম্বর- এ০১৯৬৪১০৪)। তিনি পাবনার চাটমোহর উপজেলার ছাইপাই গ্রামের মোহাম্মদ ওসমান মণ্ডলের ছেলে।

বুধবার (২৯ নভেম্বর) মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অনাকাঙ্ক্ষিত এ দুর্ঘটনায় বাংলাদেশি  শ্রমিকদের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছে কুয়ালালামপুরের বাংলাদেশ হাইকমিশন।

এতে আরও বলা হয়, দুর্ঘটনার খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত হাই কমিশনার মোহাম্মাদ  খোরশেদ আলম খাস্তগীর দূতাবাসের প্রথম সচিব (শ্রম) এএসএম জাহিদুর রহমান এবং আইন সহকারী সুকুমারান সুবরামানিয়মকে ঘটনাস্থলে পাঠান। তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন এবং তথ্য সংগ্রহ করেন। প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, ওই তিন বাংলাদেশি নির্মাণশ্রমিক কর্তব্যরত অবস্থায় একটি নির্মাণাধীন ভবন ধসে নিহত হয়েছেন। তাদের মরদেহ বর্তমানে পেনাং জেনারেল হাসপাতালে রাখা হয়েছে।

এছাড়া ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে দুজন শ্রমিককে উদ্ধার করা হয়। বর্তমানে তারা পেনাং জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। উদ্ধারকাজ সম্পন্ন হলে বিস্তারিত জানানো হবে।

দূতাবাস আরও জানায়, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে জানা যায়, মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) স্থানীয় সময় আনুমানিক রাত পৌনে ১০টার  দিকে মালয়েশিয়ার পেনাং রাজ্যে নির্মাণাধীন ওই ভবনটি ধসে পড়ে।

নিহত তিন বাংলাদেশি কর্মীর মরদেহ দ্রুত দেশে পাঠানোর জন্য তাদের পরিবারের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছে হাইকমিশন। এছাড়া নিহত বাংলাদেশি কর্মীদের মৃত্যুজনিত ক্ষতিপূরণ আদায়ের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে হাইকমিশন।

 

সান

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত