কাউনিয়ায় বাঁশের তৈরী দেশীয় মাছ ধরা চাঁইয়ের বেড়েছে চাহিদা

প্রকাশ: ২২ জুন ২০২৫, ১৭:৫১ | আপডেট : ২২ জুন ২০২৫, ২২:০০

কাউনিয়া উপজেলায় তিস্তা, মানাস, বুড়াইল ৩টি নদী, সরকারী জলাশয় ও বহু খাল-বিল, ডোবা-নালা, দোলা থাকায় বর্ষার আগমনে দেশী মাছ ধরার জন্য বাঁশের তৈরী মাছ ধরা চাঁইয়ের কদর বেড়ে যায়। আর এ সময়টিতে বাঁশ শিল্পের সাথে জরিত যারা তাদের বার্তি আয়ও বাড়বে এমটাই আশা তাদের।
সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজার ঘুরে দেখাগেছে হাটবাজার গুলোতে বাঁশের তৈরী মাছ ধরার চাঁই প্রচুর পরিমানে উঠেছে। ক্রেতাও বেশ ভাল। বর্ষার নতুন পানিতে ও নদীতে মাছ ধরার জন্য চাঁই এর বেশ কদর রয়েছে। বর্ষায় খাল বিলে দেশী মাছের প্রাচুর্য লক্ষ্য করা যায়। গ্রামের মৎস্য শিকারীরা দেশীয় সুস্বাদু মাছ ধরার জন্য পানিতে পাতে নানা রকমের ফাঁদ। আর মাছ ধরার ফাঁদ হিসেবে বাঁশের তৈরী চাঁইয়ের জুড়ি নেই। বর্ষা মৌসুমে বাঁশের তৈরী নানা উপকরনের মধ্যে মাছ ধরার চাঁইএর ব্যাপক চাহিদা বেড়ে যায়। বন্যা হলে দেশী মাছ খাল-বিল, ডোবা-নালায় প্রচুর পাওয়া যায়। এর ফলে গ্রামের মানুষের মাছ ধরার আগ্রহ বাড়ে এবং চাঁই ক্রয় করে। চাঁই তৈরীর কারিগর মন্টু মিয়া জানায় সারাবছরে এর তেমন চাহিদা থাকেনা, বর্ষা মৌসুমে এর খুব চাহিদা বাড়ে বিশেষ করে যে বছর বন্যা হয়। চলতি মৌসুমে সে সবচেয়ে বেশী চাঁই তৈরী করেছে। সে আর জানায় বাঁশ শিল্পের সাথে যারা জরিত তাদের সরকারী ভাবে পৃষ্টপোষকতা করা প্রয়োজন, তা নাহলে গ্রাম বাংলার এ শিল্প একদিন হারিয়ে যাবে। চলতি বছর চাহিদা থাকায় উপজেলার বৃহৎ হাট টেপামধুপুর, খানসামা ও তকিপল হাটে প্রচুর পরিমান মাছ ধরার চাঁই উঠেছে। চাঁইএর কদর বাড়ায় ব্যবসায়ীরা বেশ খুশি। চাই বিক্রেতা আঃ রশিদ জানান, বাঁশের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় তাদের লাভ তেমন হয় না। কাউনিয়ায় মৎস্য আড়তের ভোলা রাম দাস জানায় বাজারে চাঁইএর মাছের ব্যাপক চাহিদা। চাঁইএর মাছ সাধারনত সাত মিশালী হয়ে থাকে। তাই এ মাছ বিক্রয় করতে বেশী সময় লাগে না এবং লাভও ভাল হয়।
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত