চলতি মৌসুমে ইরি-বোরো ধানে চালের ফলন কম, হতাশায় আদমদীঘির মিলাররা

প্রকাশ: ১১ এপ্রিল ২০২৫, ১৯:১১ | আপডেট : ৬ মে ২০২৫, ১৪:১৪

দেশের বিভিন্ন হাওড় এলাকায় চাষ করা আগাম জাতের ইরি-বোরো ধান কাটা মাড়াই চলছে। সে সব স্থান থেকে উপজেলার চালকল মালিকরা ধান এনে চাল উৎপাদন করে হতাশ হয়ে পড়েছে। মিলারদের সুত্রে জানা গেছে, নতুন ইরি-বোরো এক মণ ধানের ফলিত চালের পরিমান হচ্ছে অর্ধেকেরও কম। এতে করে ব্যাপক লোকসানের মুখে পড়েছেন তারা। প্রতি কেজি চালের উৎপাদন মুল্য তথা পড়তা পড়ছে ৬৬ টাকা। ফলে মিলাররা নতুন ইরি-বোরো ধানের চাল উৎপাদন করে পড়েছে বেকায়দায়। বিগত বছর গুলোতে নতুন চালের ব্যাপক চাহিদা ছিল উপজেলার সান্তাহার ও পাশের নওগাঁ মোকামে। কিন্তু এবার হয়েছে উল্টো, মিলাররা নতুন ধানের চাল কিনছেন না। উপজেলার সান্তাহারের হাস্কিং চালকলের মালিক মতিউর রহমানসহ উপজেলার একাধিক চালকল মালিক বলেন, কিশোরগঞ্জ মোকাম থেকে সরু জাতের বিআর-৮৮ জাতের ধান ক্রয় করা হয়েছে প্রতি মণ এগারশত পঞ্চাশ টাকা করে। পরিবহন ও উৎপাদন খরচ প্রায় দেড়শত টাকা। সব মিলে খরচ এক হাজার তিনশত টাকা। ধান সিদ্ধ শুকানোর পর ছাঁটাই করে চাল মিলেছে পৌনে ২০ কেজি। মিলাররা হতাশ কন্ঠে বলেন, প্রতি কেজি চালে কত টাকা করে লোকসান হবে সেটাও বুঝতে পারছি না। কারন সান্তাহার ও নওগাঁ মোকামের চালের আড়তদাররা এবার নতুন ইরি-বোরো ধানের চাল কোন দামেই কিনছেন না। নতুন এই ধান ভেজা ও অপুষ্ট দানা হবার কারনে চালের ফলন কম হচ্ছে মনে করছেন ভুক্তভোগী মিলাররা। এদিকে সরকার এবার ধান ও চাল ক্রয়ের যে নতুন দাম নির্ধারণ করেছে সেটি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মিলাররা। এবার প্রতি কেজি ইরি-বোরো ধান ৩৬ টাকা এবং চাল ৪৯ টাকা নির্ধারণ করেছেন। মিলাররা জানান, ইরি-বোরোর ৬০ কেজি ধানে ৩৯ কেজির বেশী ফলিত চাল মেলে না। সে হিসাবে চালের সরকারি ক্রয় মুল্য ৪৯ টাকা কি করে গ্রহনযোগ্য হয়। এবিষয়ে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কে,এম গোলাম রাব্বানি বলেন, ক্রয় সংক্রান্ত চিঠি এখনো পাওয়া যায়নি। তবে ধান চালের সরকারি ক্রয় মুল্য যথাক্রমে ৩৬ ও ৪৯ টাকা বলে জানা গেছে।
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত