পঞ্চগড়ের প্রায় ৮২ লাখ টাকা নিয়ে উধাও হজ্জ এজেন্সীর পরিচালক জলিল

প্রকাশ: ১৮ জুন ২০২৫, ১৮:২০ | আপডেট : ১৮ জুন ২০২৫, ২২:৪১

পঞ্চগড়ের ৩৯ জন হাজীর ৮১ লাখ ৪১ হাজার টাকা নিয়ে উধাও হজ্জ এজেন্সী সান ফ্লাওয়ার এয়ার লিংকস এর পরিচালক আব্দুল জলিল।এ ঘটনায় পঞ্চগড় আমরী আদালত-১ মামলা করেছে মোয়াল্লেম ওয়াছেদ আলী শাহ নাম এক মোয়াল্লেম ।
আসামী আব্দুল জলিল নোয়াখালী বেগমগঞ্জ লক্ষী নারায়নপুর এলাকার মৃত আব্দুর রহমানের ছেলে।৮৬ ইনার সার্কুলার রোড কাজী টাওয়ার তৃতীয় তলা নয়া পল্টন ঢাকা এজেন্সীর অফিসের পরিচালক।এজেন্সীর নম্বর ০২৬৩। আদালত সূত্রে জানা যায়,বাদী পঞ্চগড় টুনিরহাট এলাকার মৃত ফজর আলী শাহ এর ছেলে ওয়াছেদ আলী শাহ একজন মোয়াল্লেম।২০১৯ সালে হজ্জ পালনের জন্য ৩৯ জন হজ্জ প্রত্যাশীর ৮১ লাখ ৪১ হাজার টাকা বিভিন্ন সময়ে ব্যাংকে রশিদমুলে এজেন্সীতে পাঠান।হজ্জ মৌসুমের সময় পার হলে হজ্জ যাত্রীদের হজ্জ গমনে যোগাযোগ করলে আসামী আজকাল বলে সময় ক্ষেপন করে।অন্য হজ্জ যাত্রীরা মক্কা নগরীতে হজ্জ পালনে গেলে আসামীর ছলচাতুরি বুঝতে পেরে মুসল্লিদের প্রদানকৃত টাকা ফেরত চান বাদী।পরে আসামী নিজের অপরাধ স্বীকার করে ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের হিসাব নম্বরে ৬৯ লাখ ৩০ হাজার টাকা জমা করবেন বলে, নন জুডিসিয়াল ষ্ট্যাম্পে জেলা প্রশাসকের কাছে অঙ্গীকারনামা দেন এজেন্সি পরিচালক।মেয়াদের মধ্যে টাকা পরিশোধ না করলে ২০২০ সালের ৯ মার্চ সুবিচার চেয়ে আদালতে একটি মামলা দায়ের করা হয়। এজেন্সীর কারনে হজ্জ করতে না পারা আর গত পাঁচ বছরে বিচারিক কাজ শেষ না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করছেন হজ্জ প্রত্যাশী হাজীরা।মামলার বাদী ওয়াছেদ আলী শাহ বলেন,হজ্জ এজেন্সি সান ফ্লাওয়ার এয়ার লিংকস এর পরিচালক আব্দুল জলিলকে ৩৯ জন হজ্জ প্রত্যাশীর টাকা দেয়া হয়েছে।হজ্জ মৌসুমে মক্কায় নিতে না পারায় প্রদানকৃত টাকা উত্তোলনের চেষ্টা করে, না পেয়ে আদালতের আশ্রয় নিয়েছি।
বাদীর আইনজীবী এড. মফিদুল ইসলাম বলেন,আসামী আব্দুল জলিল হাইকোর্ট থেকে জামিন নিয়ে বর্তমান পলাতক আছে।পরবর্তী আদালতের কার্যক্রমের জন্য আসামীর বিরুদ্ধে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের আদেশ দিয়েছেন বিচারক।
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত