মাইলস্টোনে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় দগ্ধদের জন্য রক্ত ও স্কিন প্রয়োজন নেই: ডা. নাসির উদ্দিন

প্রকাশ: ২৫ জুলাই ২০২৫, ১০:৩১ | আপডেট : ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০১:১৮

উত্তরা হাউজ বিল্ডিং এলাকায় বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় দগ্ধ হয়ে চিকিৎসাধীন রোগীদের জন্য রক্ত বা ত্বক (স্কিন) ডোনেশনের কোনো প্রয়োজন নেই বলে জানিয়েছেন জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. নাসির উদ্দিন।
বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) রাত ৮টার দিকে ইনস্টিটিউটে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, বর্তমানে আমাদের রক্তের পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে, কোনো ধরনের স্কিন ডোনেশনের প্রয়োজন নেই। বাংলাদেশ সরকার থেকে চিকিৎসা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ ও লজিস্টিক সাপোর্ট আমরা পাচ্ছি।
তিনি জানান, বর্তমানে বিমান দুর্ঘটনায় দগ্ধ হয়ে বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি আছেন মোট ৪২ জন। এর মধ্যে ৮ জন আইসিইউতে রয়েছেন। তাদের মধ্যে ৬ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। উন্নতির কারণে দুইজনকে আইসিইউ থেকে ইন্টারমিডিয়েট কেয়ারে স্থানান্তরের পরিকল্পনা রয়েছে। এছাড়া সবচেয়ে আশাব্যঞ্জক খবর হলো—২৩ জন ইন্টারমিডিয়েট ক্যাটাগরির রোগীর মধ্যে ১৩ জন রোগীকে কেবিনে স্থানান্তর করা হয়েছে।
তিনি জানান, বৃহস্পতিবার সংকটাপন্ন দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। একজন দুপুর ১টা ৫৫ মিনিটে এবং অন্যজন বিকাল সাড়ে ৪টায় মারা যায়।
সংবাদ সম্মেলনে অধ্যাপক নাসির উদ্দিন আরও জানান, চিকিৎসা সহায়তার বিষয়ে আমরা আন্তর্জাতিক সহযোগিতা নিচ্ছি। সিঙ্গাপুর এবং ভারতের বিশেষজ্ঞরা আমাদের সঙ্গে দেখা করে গেছেন। চীনের চিকিৎসকদের সঙ্গেও ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে কথা হয়েছে। তারা শিগগিরই আমাদের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত হবেন।
তিনি বলেন, বিশ্বের যেকোনো দেশ যদি চিকিৎসা সহায়তায় আগ্রহ প্রকাশ করে, আমরা তাদের স্বাগত জানাবো। কোনো দ্বিধা ছাড়াই আমরা সম্মিলিতভাবে কাজ করতে চাই। যে কেউ সহায়তা করতে চাইলে আমরা তাদের পরামর্শ ও অভিজ্ঞতাকে গুরুত্ব দিয়ে চিকিৎসা কার্যক্রমে কাজে লাগাব।
তিনি আরও জানান, অনেকেই বিকাশ বা নগদে অর্থ পাঠাতে চাচ্ছেন। আমরা তাদের সদিচ্ছার প্রতি শ্রদ্ধাশীল, তবে এখনই সাধারণ জনগণের অর্থ সহায়তার প্রয়োজন নেই। সরকারি পর্যায় থেকে পর্যাপ্ত সহায়তা রয়েছে। নাসির উদ্দিন বলেন, এ পর্যন্ত দগ্ধদের মধ্যে ১৩ জন মারা গেছেন।
এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় যারা দগ্ধ হয়েছেন, তাদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে সরকার ও চিকিৎসকরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছেন বলে জানান অধ্যাপক নাসির উদ্দিন।
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত