তালাক দেওয়া স্ত্রীকে বিয়ের অনুমতি না দেওয়ার জের
সিরাজদিখানে গৃহবধূকে মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ

প্রকাশ: ২১ জুন ২০২৫, ১২:১৭ | আপডেট : ২১ জুন ২০২৫, ১৮:২১

মুন্সীগঞ্জ সিরাজদিখানে তালাক দেওয়া প্রথম স্ত্রীকে পুনরায় বিয়ের অনুমতি না দেওয়ার জের গৃহবধূকে অভুক্ত রেখে ও মানসিক নির্যাতনে মৃত্যুর পথে ঠেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে শ্বাশুড়ি-ননদসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে। তার নাম শামীমা আক্তার। সিরাজদিখানে একটি বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসা নিয়েছেন শামীমা আক্তার। এ বিষয়ে সাংবাদিকদের নিকট অভিয়োগ জানিয়েছেন শামীমা ও তার পরিবার।
জানা গেছে, উপজেলার দক্ষিনতাপুর গ্রামের মোঃ হোসেন মিয়ার মেয়ে শারমিন আক্তারের সঙ্গে দুই বছর আগে বিয়ে হয় লতব্দী ইউনিযনের কংশপুরা নতুন চর গ্রামের সাজেদ দেওয়ান ও শেফালী বেগমের ছেলে সৌদী প্রবাসী হৃদয় দেওয়ানের। বিয়ের দেড় বছর পর হৃদয় প্রবাসে চলে যান।
শারমিনের বাবা অভিযোগ করেন, আমার মেয়ের জামাই হৃদয় বিদেশে চলেগেলে আমার মেয়ে নতুন চর গ্রামে একা এক বাড়িতে থাকতো। রাতে সে প্রচন্ড ভয়ে ঘুমাতে পারতো না। স্বামী প্রবাসে গেলে পাশের বাড়িতে থাকা ননদ শান্তা শাশুড়ির হুকুমে ননদ শান্তা বাড়ির সব কাজ তাকে দিয়ে করাত। কঠিন কাজ, ঠিকমত ভরনপোষন খাবার না পেয়ে অভুক্ত থাকা এবং শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনে সে মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়ে। প্রতিমাসে হৃদয় মাত্র দুই হাজার টাকা পাঠায় খাবার খরচের জন্য। স্বামী বিদেশে থাকায় অমানবিক আচরণ করতে থাকে। একদিন ননদের লাথিতে পড়ে গিয়ে শারমিনের পায়ের হাড় মচকে যায়। এরমধ্যে হৃদয়ের মা শেফালী বেগম তালাক দেওয়া প্রথম স্ত্রী পপিকে দ্বিতীয় বিয়ের অনুমতি চেয়ে তার ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন বাড়িয়ে দেওয়া হয়। অবশেষে আমার মেয়ে শারমিন আক্তারকে সিরাজদিখানে একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
সিরাজদিখান থানার ওসি (তদন্ত) মো. হাবিবুর রহমান জানান, শারমিন আক্তার তার শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে মানসিক নির্যাতনের লিখিত অভিযোগ করলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত