আদমদীঘিতে জীবন্ত গাছ গুলো কৌশলে মেরে ফেলার অভিযোগ

প্রকাশ: ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৩:০৭ | আপডেট : ১৪ মে ২০২৫, ১৯:৫৯

বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার বিভিন্ন গুরুত্বপুর্ন রাস্তায় রোপনকৃত গাছ একটি মহল কৌশলে বিষাক্ত পদার্থ প্রয়োগ করে তালগাছ, ইউক্যালিপটাস সহ প্রভৃতি জীবন্ত গাছ মেরে ফেলে সেই জায়গা দখল ও মরা গাছ গুলো কেটে নিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ কিংবা বন বিভাগ বিষয়টির কোন ব্যবস্থা নিচ্ছেন না বলে স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ।
জানা য়ায়, আদমদীঘি উপজেলা পরিষদ ও বিভিন্ন ইউনিয়নের আওতায় সরকারি রাস্তা গুলোতে সরকারি ভাবে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ ও বন বিভাগ কর্তৃক তালগাছ, ফলজ ও বনজ বিপুল পরিমান গাছ লাগিয়ে বনায়ন করেছেন। বিশেষ করে বজ্রপাত সহনীয় হিসাবে লাখ লাখ টাকা খরচ করে ওইসব রাস্তায় বিপুল তালগাছ রোপন করেছেন। বর্তমানে গাছ গুলো অনেক বড় হয়েছে। এদিকে কিছু কিছু ব্যক্তি রাস্তার পাশে ধানী জমি ভরাট করে সেখানে বাসা বাড়ি নির্মাণ করছেন। বাসা নির্মাণের ফলে তাদের বাসার সামনে রাস্তায় বড় হওয়া গাছ কৌশলে বিষাক্ত পদার্থ প্রয়োগ করে মেরে ফেলে সরকারি জায়গা ও বাসার সামনে ফাঁকা করছে। আবার কেউ মেরে ফেলা গাছ রাতের আধারে কেটে বিক্রি করছে। বগুড়া-নওগাঁ মহাসড়কের আদমদীঘির কোদবাবুর থেকে ডুমুরীগ্রাম হয়ে নসরতপুর বাজার অভিমুখী রাস্তায় লাগানো বড় আকারের জীবন্ত কয়েকটি তালগাছ জনৈক নাসির নামের এক ব্যক্তি নির্মাণাধীন বাসার সামনে সরকারি রাস্তার জায়গা দখল ও কৌশলে বিষাক্ত পদার্থ প্রয়োগ করে মেরে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় বাসিন্দা জিল্লুর রহমান জানান, নাসির নামের ওই ব্যক্তি তালগাছ কৌশলে মেরে ফেলার বিষয়টি অকপটে স্বীকার করেছে। নাসির নামের ওই ব্যক্তি জানায়, অনেকেই তালগাছ সহ অন্যান্য গাছ মেরে ফেলে নিয়ে যায়। তাদের বেলায় কোন অভিযোগ নেই শুধু আমার নব নির্মানাধিন বাসার সামনে দুটি তালগাছ মরে যাচ্ছে এ নিয়ে কথা কেন। সরকারি ভাবে তদন্ত এলে জবাব দেয়া হবে। বন বিভাগের কর্মকর্তা আক্তারুজ্জামান জানান তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয় হবে।
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত