পঞ্চগড় ডিসি মো. সাবেত আলী
গবেষণা না করে আকাশমনি ও ইউকিলিপটার্স লাগিয়েছি এখন কি গাছ লাগানো যায় তা গবেষণা করতে হবে

প্রকাশ: ২১ মে ২০২৫, ১৭:৫৪ | আপডেট : ২২ মে ২০২৫, ০১:২৩

পঞ্চগড় জেলা প্রশাসক মো. সাবেত আলী বলেছেন যে কোন দেশের জন্য বনজ সম্পদ এখন বড় প্রয়োজন। পরিবেশের জন্য ৮৫ গাছ পালা থাকতে হয়। আমরা গবেষণা না করেই আকাশমনি ও ইউকিলিপটার্স লাগিয়েছি। একারণে আমাদের পরিবেশ ও সম্পদের ক্ষতি করেছি।বুধবার (২১ মে) সকালে পঞ্চগড় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় ও বাংলাদেশ বন গবেষণা ইনস্টিটিউট কর্তৃক উদ্ভাবিত প্রযুক্তি পরিচিতি শীর্ষক দিনব্যাপি এক কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে এই কথা বলেছেন।
কর্মশালাটিতে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিভাগীয় বন কর্মকর্তা দিনাজপুর মো. আনোয়ার হোসেন,। এতে সভাপতিত্ব করেন বিভাগীয় কর্মকর্তা বন রসায়ন বিভাগ বাংলাদেশ বন গবেষণা ইনস্টিটিউট ড. মোহাম্মদ জাকির হোসাইন।
তিনি বলেন আমরা গবেষণা না করেই এসব প্রচুর আকাশমনি ও ইউকিলিপটার্স লাগিয়েছি। কতো ব্যয় হয়েছে এখন এগুলো গাছ ব্র্যান্ড করা হয়েছে। যে দেশের মাটি উর্বর নয় সহজে গাছপালা হয়না তারা গবেষণা করছে তাদের দেশে কি গাছ লাগানো যায় তারা রাতদিন পরিশ্রম করে গবেষণা করছেন। আমাদের দেশের মাটি এতোটাই উর্বর যে কোন বীজ গাছ ফেলে রাখলেই গাছ হয়। গবেষণার বিষয়টির গুরুত্ব আমরা বুঝতে পারিনা। দেশে এসকল গাছের পরিমান দশ লাখ। এসকল গাছ পানি খেয়ে ফেলে।
জেলা প্রশাসক মো. সাবেত আলী বলেন এই বন গবেষণা ইনস্টিটিউটি টেকসই প্রযুক্তি দ্বারা বর্তমান প্রজন্মের দিক ফুলফিল করবে এবং বন সম্পদ ভবিষ্যত দেশ ও সমাজের জন্য কাজে লাগবে। তাই আমরা সবাই যেমন কৃষক, চাকরীজীবী সহ সবাই লাগানোর ক্ষেত্রে সজাগ থাকবো যেনো পরিবেশকে সংরক্ষণ করতে পারি।পরে তিনি কর্মশালার শুভ উদ্বোধন করেন।এসময় জেলার বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী বিভিন্ন পেশাজীবী সাংবাদিক , কৃষক সহ সূধীবৃন্দ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সিনিয়র রিসার্চ কর্মকর্তা (তথ্য প্রযুক্তি ও প্রশিক্ষণ) বন গবেষণা ইনস্টিটিউট মো. জহিরুল ইসলাম।
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত