হাদির মৃত্যুর খবরে রাতভর দেশের বিভিন্ন স্থানে হামলা ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০:৫০ |  আপডেট  : ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৩:৪৪

জুলাই যোদ্ধা ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে দেশের বিভিন্ন স্থানে হামলা ভাঙচুর অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। মৃত্যুর খবর শোনার পর হত্যার বিচারের দাবিতে রাজপথে নেমে পড়েন অনেকে।

বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাতে রাজধানীর শাহবাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ করে ছাত্রজনতা। জুলাইয়ের সম্মুখসারির যোদ্ধারা পতিত আওয়ামী লীগ ও ভারতীয় আধিপত্যবাদের ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে স্লোগান দেন। ব্যর্থতার দায় নিয়ে অবিলম্বে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগের দাবি জানান তারা।

ছাত্রজনতার সঙ্গে এক কাতারে মাঠে নেমেছেন জুলাই অভ্যুত্থানের নেতা নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া, মাহফুজ আলমরাও।

শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) জুমার নামাজের পর দেশব্যাপী বিক্ষোভের ডাক দিয়েছেন তারা।

এ হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে সড়কে নেমেছেন বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন ও ডাকসু নেতারাও। হত্যা করে আধিপত্যবিরোধী লড়াই বন্ধ করা যাবে না বলে হুঁশিয়ারি দেন তারা।

হাদির মৃত্যুর প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার রাত ১০টা থেকে রাত ৩টা পর্যন্ত ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের যাত্রাবাড়ি ও শনিরআখড়া ছাত্র-জনতা ব্লকেড কর্মসূচি করে। এতে ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়ক,ঢাকা-মাওয়া ও ঢাকা-ডেমরা সড়কে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়েছে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন শতশত রোগী ও যাত্রীরা।

রাতে রাজধানীর উত্তরা, মিরপুরে চলে বিক্ষোভ। এতে বন্ধ হয়ে যায় সড়ক। এক পর্যায়ে আগুন দেওয়া হয় প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার কার্যালয়ে। আগুন ছড়িয়ে পড়লে ভেতরে আটকা পড়েন বেশ কয়েকজন। বেশ কিছুক্ষণ ধরে এমন পরিস্থিতি চলার পর এক পর্যায়ে দমকলবাহিনীর সহায়তায় উদ্ধার করা হয় সেখানে আটকে পরা গণমাধ্যমকর্মীদের। ধানমণ্ডি ৩২, ছায়ানটেও অগ্নিসংযোগ করা হয়।

শুধু রাজধানীতেই নয়, ওসমান হাদির মৃত্যুর খবরে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। চট্টগ্রামে ভারতীয় সহকারী হাইকমিশন অফিস ঘেরাও করে বিক্ষুব্ধরা; আগুন দেয় সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নওফেলের বাড়িতেও।

গুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে রাজশাহী নগর আওয়ামী লীগ অফিস। বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয় সিলেট ও বরিশালেও। নেত্রকোনায় রাস্তায় আগুন জ্বালিয়ে বিচার দাবি জানান, আন্দোলনকারীরা।

হাদির মৃত্যুর প্রতিবাদে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করে ছাত্র–জনতা। বৃহস্পতিবার রাতে সাভারের পাকিজা মোড়ে অবরোধ করে বিক্ষোভ করা হয়।

জামালপুরে পৃথক তিনটি স্থানে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাতে শহরের দয়াময়ী মোড়, পাঁচরাস্তা ও ফৌজদারী মোড়ে বিক্ষোভ করে সাধারণ ছাত্র-জনতা।

ওসমান হাদির নিজ জেলা ঝালকাঠিতেও বিক্ষোভে নামেন অনেকে। রাস্তায় আগুন জ্বালিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয় যান চলাচল।

কিশোরগঞ্জে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাত পৌনে ১১টায় বিক্ষোভ মিছিলটি শহরের ঐতিহাসিক শহীদি মসজিদের সামনে থেকে শুরু হয়ে শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে একই স্থানে এসে শেষ হয়।

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত