আলুর লোকসানে এবার আতংকিত মরিচ চাষীরা

আদমদীঘিতে মরিচ ক্ষেত পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা

  আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ৩ মে ২০২৫, ১৮:০০ |  আপডেট  : ৪ মে ২০২৫, ১১:১৪

তীব্র গরমে ও রোদ উপেক্ষা করে সদ্য লাগানো মরিচের গাছের পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার মরিচ চাষীরা। এবছর আলুর দরপতনে কৃষকদের ব্যাপক লোকসানের কারণে আগামীতে কাঁচা মরিচেও অনুরপ লোকসানে যায় কিনা এ নিয়ে আতংকে দিন কাটাচ্ছেন মরিচ চাষিরা। তাদের স্বাবলম্বি করতে আসন্ন কাঁচা মরিচের দরপতন রোধে পদক্ষেপ নিতে সরকারের নিকট জোর দাবি জানিয়েছেন চাষিরা। 

জানা যায়, বগুড়া জেলার আদমদীঘি উপজেলা একটি বিখ্যাত মরিচ চাষের এলাকা। এখনকার উৎপাদিত মরিচ দেশের বিভিন্ন জেলার চাহিদা মেটায়। গত মৌসুমে কৃষকরা কাঁচা মরিচ চাষ করে লাভবান হয়। চলতি বছর কৃষকের আলু চাষ করে বাম্পার ফলন পেলেও আলুর দর পতনে তারা ব্যাপক হারে লোকসানের কবলে পড়ে। আগামীতে আলুর মত কাঁচা মরিচেও দরপতন হওয়ার আতংকে ভুগছেন তারা। কিছু কিছু কৃষক মরিচেও লোকসান হবে বলে এই আতংকে মরিচ চাষ কমিয়ে দিয়েছেন। আবার কেউবা মরিচের দাম আল্লাহর হাতে ছেড়ে দিয়ে মরিচের গাছের পরিচর্যা করছেন। 
উপজেলার শালগ্রামের মরিচ চাষী রতন ইসলাম জানায়, গত বছর দেড় বিঘা জমিতে মরিচ চাষ করেছিলাম কিন্তু এবছর কাঁচা মরিচের দাম আলুর মত কম হওয়ায় আতংক থেকে এবার এক বিঘা  জমিতে মরিচ চাষ করেছি। আমইল গ্রামের জাহাঙ্গীর আলম জানায়, দেশের প্রেক্ষাপট পরিবর্তনের কারণে চলতি বছর কাঁচা মরিচের দাম কম হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। আল্লাহ যা করেণ সেটায় ভাল। মরিচ চাষী আলতাফ আলী খাঁ জানায়, প্রতি শতক জমিতে একশ করে চারা রোপন করে বাঁশের খুটি দেওয়ার কাজ চলছে। সেইমতে প্রতি বিঘায় কম বেশি তিন হাজার কাঁচা মরিচের গাছ রোপন করে ঘাস মারা, পোকামাড়া ঔষধ স্প্রে ও নিয়মিত সেচ দেওয়ার কাজ করা হচ্ছে। বাংলা আষাঢ় মাসে কাঁচা মরিচ বাজার জাত করণে আশা করা হচ্ছে।

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত