ট্রলার আটক করায় কোস্টগার্ড স্টেশনে জেলেদের হামলা

  বরগুনা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১৮ জুন ২০২৫, ১২:৩৭ |  আপডেট  : ১৮ জুন ২০২৫, ১৬:১১

কোস্টগার্ডের একটি গাড়ি ও মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়েছে

বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলায় দুটি অবৈধ ট্রলার আটক করায় কোস্টগার্ড স্টেশনে জেলেরা হামলা চালিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। জেলেরা কোস্টগার্ডের একটি গাড়ি ও মোটরসাইকেল ভাঙচুর করেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কোস্টগার্ড ফাঁকা গুলি ও লাঠিচার্জ করে। এতে কমপক্ষে ১২ জন আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (১৭ জুন) রাত ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

এ সময় জেলেরা ক্ষুব্ধ হয়ে কোস্টগার্ড স্টেশন ঘিরে রাখায় ভেতরে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন কোস্টগার্ড সদস্যরা। পরে নৌ-বাহিনী ও পুলিশ সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার বিকালে অবৈধ দুটি ট্রলার জব্দ করে কোস্টগার্ড। এর প্রতিবাদে পাঁচ শতাধিক জেলে সন্ধ্যা থেকে কোস্টগার্ড স্টেশনের সামনে বিক্ষোভ করেন। রাত ৯টার দিকে তারা কোস্টগার্ডের দুটি যানবাহন ভাঙচুর করেন। এ সময় কোস্টগার্ড সদস্যরা লাঠিচার্জ শুরু করেন। পরে জেলেদের সঙ্গে মৎস্য ব্যবসায়ীরা অংশ নিলে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কোস্টগার্ড ফাঁকা গুলি ও লাঠিচার্জ করে।

আটক দুটি ট্রলারের মালিক ও জেলা ট্রলার মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মাসুম কোম্পানি বলেন, ‘সাগরে ৫৮ দিন মাছ ধরা নিষেধাজ্ঞা শেষ হয়েছে গত ১১ জুন। নিষেধাজ্ঞার সময়ে মাছ ধরার জন্য ট্রলারপ্রতি ২ লাখ টাকা দেওয়া হয়েছে কোস্টগার্ডকে। নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ার পর আবারও টাকা চাওয়া হচ্ছে। যেসব ট্রলারের মালিক টাকা দেননি তাদের তালিকা আমার কাছে চান কোস্টগার্ডের সদস্যরা। আমি রাজি না হওয়ায় আমার বৈধ ট্রলারগুলোকে অবৈধ আখ্যা দিয়ে জব্দ করেছে।’

পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মিজানুর রহমান বলেন, ‘কোস্টগার্ড নদী থেকে দুটি অবৈধ ট্রলার জব্দ করে সেগুলোর যাবতীয় মালামাল কেটে ফেলার সময় জেলেরা বাধা দেন। তা নিয়ে এই ঘটনার সূত্রপাত। তবে এ বিষয়ে সুষ্ঠু তদন্ত চলমান রয়েছে।’

পাথরঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেহেদী হাসান বলেন, ‘বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। ধরনের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির সুযোগ নেই। বর্তমানে ইউএনও মহোদয় ও জেলেদের যারা প্রধান রয়েছেন তাদের নিয়ে সমন্বয় করে এটি সমাধানের চেষ্টা চলছে।’

কা/আ 

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত