ঠাকুরগাঁওয়ে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে যুবক গ্রেপ্তার

প্রকাশ: ৫ মে ২০২৫, ১০:৪১ | আপডেট : ৫ মে ২০২৫, ১৪:৪৫

ঠাকুরগাঁওয়ে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। রোববার (৪ মে) দুপুরে সদর উপজেলার রাজাগাঁও ইউনিয়নের উত্তর বঠিনা (নদীভাঙা) গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় রোববার রাত সাড়ে ১০টার দিকে ওই শিক্ষার্থীর বাবা রুহিয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন। পরবর্তী সময়ে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত শাহাজাহান আলী গেন্দুকে (৪৬) তার এলাকার থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃত শাহাজাহান আলী গেন্দু ওই ইউনিয়নের উত্তর বঠিনার পাটিয়াডাঙ্গী এলাকার আব্দুল খালেকের ছেলে। শাহাজাহান আলী গেন্দু একজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী বলে জানা গেছে।
এজাহার ও ভুক্তভোগী পরিবাররের সূত্রে জানা গেছে, অভিযুক্ত শাহাজাহান আলী গেন্দু প্রায় সময় ভুক্তভোগীর বাড়িতে যাতায়াত করতেন এবং স্কুলছাত্রীকে মাঝে মধ্যে কুপ্রস্তাবও দিতেন। শাহাজাহান আলী গেন্দুর এমন কুপ্রস্তাব ভুক্তভোগী তার মা-বাবাকে জানালে তার বাবা অভিযুক্তকে সতর্ক করে দেয়। পরে ভুক্তভোগীকে একা পেয়ে ধর্ষণেরও হুমকি দেয় গেন্দু। রোববার সকাল ৯টার দিকে ভুক্তভোগীকে বাড়িতে একা রেখে তার মা-বাবা মাঠে কাজ যান। এই সুযোগে অভিযুক্ত গেন্দু দুপুর আড়াইটার দিকে ভুক্তভোগীকে ধর্ষণ করেন। ভুক্তভোগীর চিৎকারে শাহাজাহান আলী গেন্দু তাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে জীবন রক্ষার্থে পালিয়ে যান। পরে ভুক্তভোগী তার পরিবারকে বিষয়টি খুলে বললে পরিবারের সদস্যরা রুহিয়া থানা পুলিশের দারস্ত হয়ে অভিযুক্ত শাহাজাহান আলী গেন্দুর বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ করেন।
ভুক্তভোগীর বাবা ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমি দিনাজপুরের বীরগঞ্জে থাকা অবস্থায় শুনি শাহাজাহান আলী গেন্দু আমার স্কুলপড়ুয়াকে মেয়েকে ধর্ষণ করেছে। পরে রাতে আমি বাড়িতে এসে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের বিষয়টি জানালে তারা থানায় অভিযোগ করার পরামর্শ দেন এবং পরে আমি রুহিয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করি।
তিনি আরও বলেন, এ ঘটনার পর থেকেই আমার মেয়ে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছে। বাড়ির পাশে হওয়ায় গেন্দু আমার বাড়িতে প্রায় আসতো। মেয়েকে কুপ্রস্তাবও দিতো। একদিন আমার মেয়ে কুপ্রস্তাবের বিষয়টি আমাকে জানালে আমি গেন্দুকে সতর্ক করে দেই। আজ আমরা বাড়িতে না থাকায় সে এমন জঘন্য কাজটি করেছে। আমি তার সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করছি।
ভুক্তভোগীকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে ভুক্তভোগীর বাবা ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমি বাড়িতে না থাকায় মেয়েকে ডাক্তার বা হাসপাতালে ভর্তি করা সম্ভব হয়নি। আমি মেয়েক নিয়ে থানায় এসেছি। ওসি স্যার বলেছে সোমবার সকালে তিনি উপস্থিত থেকে ঠাকুরগাঁও ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হবে।
এ বিষয়ে রুহিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম নাজমুল কাদের রাত দেড়টার দিকে ঢাকা পোস্টকে বলেন, ধর্ষণের ঘটনায় ভুক্তভোগীর বাবা থানায় এসে একটি লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগটি আমলে নেওয়া হয়েছে। অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত শাহাজাহান আলী গেন্দুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সোমবার সকালে তাকে আদালতে তোলা হবে বলে জানানা এই কর্মকর্তা।
কা/আ
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত