ডিবি পরিচয়ে ডাকাতির ঘটনায় গ্রেপ্তার ৩

প্রকাশ: ৩০ জুন ২০২৫, ১৪:১৩ | আপডেট : ৩০ জুন ২০২৫, ১৯:১৮

রাজধানীর মতিঝিলে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ব্যবসায়ীর ৩০ লাখ টাকা ডাকাতির ঘটনায় তিন ডাকাতকে গ্রেপ্তারের পাশাপাশি ডাকাতির ঘটনায় ব্যবহৃত হাইয়েস গাড়ি এবং নগদ ৮৯ হাজার টাকা উদ্ধার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তাররা হলেন- মো. শামিম রহমান (২৯), মো. মিজান রহমান (৫১) ও রবিউল ইসলাম জুয়েল (৪২)।
শুক্রবার থেকে রোববার (২৭ থেকে ২৯ জুন) ঢাকা ও ঝালকাঠিতে পৃথক অভিযান পরিচালনা করে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের সময় শামিমের কাছ থেকে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত হাইয়েস গাড়ি, মিজানের কাছ থেকে নগদ ৮০ হাজার টাকা এবং জুয়েলের হেফাজত থেকে ৯ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।
রোববার (৩০ জুন) ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মুহাম্মদ তালেবুর রহমান জানান, গত ২৬ জুন বৃহস্পতিবার দুপুর আনুমানিক ১২টায় ওয়ারীর নবাবপুরের একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে মো. খলিল মিয়া ও ইব্রাহীম হোসেন রিফাত নামের দুই ব্যক্তি একটি স্কুটিতে করে নগদ ৩০ লাখ টাকা মতিঝিল সিটি ব্যাংক শাখায় জমা দেওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা দেন।
বেলা আনুমানিক ১২টা ৪৫ মিনিটে তারা মতিঝিলের ঘরোয়া হোটেলের সামনে পৌঁছানো মাত্রই ৬/৭ জন ব্যক্তি নিজেদের ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে তাদেরকে ‘ডিবি’ লেখা একটি হাইয়েস মাইক্রোবাসে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যায়। পরে দুজনকে মারধর করে, অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ৩০ লাখ টাকা নিয়ে হাত-পা বেঁধে সাইনবোর্ড বাসস্ট্যান্ড এলাকায় একটি ময়লার ডাস্টবিনে ফেলে পালিয়ে যায়।
স্থানীয় লোকজন তাদের উদ্ধার করে প্রথমে সাইনবোর্ডের প্রো-অ্যাকটিভ হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা এবং পরবর্তীতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায়। এ ঘটনায় প্রতিষ্ঠানটির মালিক সাইদুল ইসলামের অভিযোগের প্রেক্ষিতে ডিএমপির মতিঝিল থানায় একটি নিয়মিত মামলা রুজু হয়।
তিনি জানান, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় শুক্রবার থেকে রোববার ঢাকা ও ঝালকাঠি জেলায় অভিযান পরিচালনা করে উক্ত তিনজনকে গ্রেপ্তার করেন। গ্রেপ্তারের সময় শামিমের কাছ থেকে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত হাইয়েস গাড়ি, মিজানের কাছ থেকে নগদ ৮০ হাজার টাকা এবং জুয়েলের হেফাজত থেকে ৯ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।
গ্রেপ্তার মিজানের নামে ঝালকাঠির রাজাপুর ও নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার থানায় আরও দুটি ডাকাতির মামলা রয়েছে। গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। মামলার সুষ্ঠু তদন্ত এবং লুট হওয়া অন্যান্য টাকা উদ্ধারসহ আত্মগোপনে থাকা ডাকাতদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত