পঞ্চগড়ে ভয় ভীতি দেখিয়ে চতুর্থ শ্রেণীর শিক্ষার্থীকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ

প্রকাশ: ২৯ জুন ২০২৫, ১৮:৫৫ | আপডেট : ৩০ জুন ২০২৫, ০১:৩৪

পঞ্চগড় সদর উপজেলার শিংরোড নামক এলাকায় চতুর্থ শ্রেণির এক শিশু শিক্ষার্থীর উপর যৌন নিপীড়নের অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত ব্যক্তি একই এলাকার বাসিন্দা খোকন (৩৫), পিতা শাহজাহান আলী। ভুক্তভোগী শিশুটির পরিবার সূত্রে জানা যায়, ঘটনার পর থেকে সে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছে এবং ভয়ভীতির মধ্যে দিন কাটাচ্ছে।ভুক্তভোগী ছাত্রীর বাবা মোঃ রশিদুল ইসলাম থানায় দায়েরকৃত অভিযোগে উল্লেখ করেন, অভিযুক্ত খোকনের বাড়ি এবং তার বাড়ি পাশাপাশি। তার মেয়ে মোছা. রুপু আক্তার স্থানীয় একটি প্রাইমারি স্কুলের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী। অভিযুক্ত খোকন দীর্ঘদিন ধরে তার মেয়েদের প্রতি কুনজর দিয়ে আসছিলেন।
গত ২৩ জুন ২০২৫ ইং তারিখ দুপুর আনুমানিক ১টা থেকে ১টা ৩০ মিনিটের মধ্যে শিশুটি পাশের গোরস্থানে ছাগল আনতে গেলে খোকন একা পেয়ে মেয়েটির মুখ চেপে ধরে জোরপূর্বক পাটক্ষেতে নিয়ে যান। সেখানে মৃত্যুভয় ও নানা ভয়ভীতি দেখিয়ে শিশুটিকে যৌন নিপীড়নের চেষ্টা করেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।
শিশুটির পরিবারের দাবি, ওই সময় মেয়েটি চিৎকার করার চেষ্টা করলে খোকন তাকে হুমকি দেন—কাহাকেও কিছু জানালে তাকে জবাই করে ফেলবেন। ঘটনার পর ভয়ভীতির কারণে শিশুটি বিষয়টি গোপন রাখে এবং চুপচাপ বাড়ি ফিরে বিছানায় শুয়ে থাকে। পরদিন তার অসুস্থতা ও কান্নাকাটিতে সন্দেহ হলে মা রশনা বেগম ও বোন রিশা মনি তাকে জিজ্ঞেস করলে সে পুরো ঘটনা খুলে বলে।
পরিবারটি বিষয়টি স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের জানালে তারা গ্রামীণ শালিসের পরামর্শ দেন। তবে অভিযুক্ত খোকন শালিস এড়িয়ে চলতে থাকায় থানায় অভিযোগ করতে বিলম্ব হয় বলে জানান ভুক্তভোগীর পরিবার।স্থানীয়রা জানান, ঘটনাটি অত্যন্ত স্পর্শকাতর হওয়া সত্ত্বেও এ বিষয়ে দ্রুত কোনো আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। অভিযোগকারীরা বলেন, “গত বুধবার আমরা সংশ্লিষ্ট থানায় লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছি। কিন্তু এতদিন পার হয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত পুলিশি তদন্তের কোনো অগ্রগতি দেখতে পাইনি। কেউ আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেনি বা ঘটনাস্থলে আসেনি। এতে আমরা হতাশায় রয়েছি।তারা আরও বলেন, “এই ধরনের ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার না হলে সমাজে অপরাধপ্রবণতা বাড়বে। আমরা চাই দ্রুত তদন্ত করে সত্য উদ্ঘাটন করা হোক এবং দোষীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক।এ ব্যাপারে পঞ্চগড় সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ( ওসি)আব্দুল্লা হিল জামান বলেন, “তদন্ত চলমান রয়েছে। অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে অবশ্যই মামলা রুজু করা হবে।
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত