কাউনিয়া উপজেলা ক্যাম্পাসে বাতির নিচে অন্ধকার

গ্রাম বাংলার প্রচলিত বাতির নিচে অন্ধকার প্রবাদটি যেন বাস্তব হয়ে দেখা দিয়েছে। কাউনিয়া উপজেলা ক্যাম্পাসে মাধ্যামিক শিক্ষা অফিসের রাস্তার বেহাল দশা, ভোগান্তিতে সেবা প্রত্যাশিরা।

সরেজমিনে উপজেলা ক্যাম্পাসে গিয়ে দেখা গেছে বেহোল দশা উপজলো শিক্ষা অফিসে যাওয়ার রাস্তাটির। সাবেক উপজেলা অডিটরিয়াম হয়ে সোজা মাধ্যামিক শিক্ষা অফিসের রাস্তার বেহাল দশার কারনে গত বছর ইট বিছিয়ে রাস্তা দিয়ে চলাচলকারী সেবা প্রত্যাশিদের কাঁদা-পানি থেকে মুক্ত করা হলেও বর্তমানে রাস্তাটি ভেঙ্গে পাশের পুকুরে নেমে যাচ্ছে, যা কর্তৃপক্ষের নজরে আসছে না। ব্যাস্ততম এই রাস্তাটির বেহাল দশায় পরিনত হচ্ছে। উপজেলার বেশীরভাগ রাস্তা গুলো সম্প্রসারন ও ঢালাই করা হলেও এই গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাটির প্রতি কর্তৃপক্ষের নজর নেই। রাস্তাটি বর্তমানে ভেঙ্গে সাবেক সিও অফিসের দিঘিতে পড়ছে। এভাবে ভাংতে থাকলে একসময় পুরো রাস্তাটি দিঘিতে পড়ে গিয়ে চলাচলরে অনুপযোগী হয়ে পড়বে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন প্রধান শিক্ষক জানান, অল্প ভাঙ্গন থাকতেই সংস্কার করলে কম খরচেই সমাধান হয়ে যাবে তা নাহলে সরকারের অযথা অর্থ অপচয় হবে। গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাটি জরুরী ভিত্তিতে সংস্কার করা প্রয়োজন। 

এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াতকারী স্থানীয় বাসিন্দা শাহাব উদ্দিন জানান দীর্ঘদিন কঁদা-পানি মারিয়ে চলাচল করেছি, বর্তমানে ইটের সলিং করায় সেই সমস্যা দুর হলেও নতুন করে ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। এভাবে ভাংতে থাকলে একসময় রাস্তাই থাকবে না। এই রাস্তাদিয়ে ৭টি কলেজ, ১৭টি মাদ্রাসা ও ৩৮টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারিগন যাতায়ত করে থাকেন। এটি সংস্কার না করায় এখানে বাংলায় প্রচলতি বাতির নিচে অন্ধকার প্রবাদটি য়েন বাস্তব হয়ে দেখা দয়িছে। এমতাবস্থায় অবলিম্বে শিক্ষক-কর্মচারি ও স্থানীয়রা রাস্তাটি দ্রুত সংস্কাররে জন্য উপজেলা পরিষদের সুদৃষ্টি কামনা করছেনে।