‘হতাশ’, ‘অকৃতজ্ঞ’: এবার প্রকাশ্য বিবাদে ট্রাম্প ও মাস্ক

প্রকাশ: ৬ জুন ২০২৫, ০৮:৫৯ | আপডেট : ৭ জুন ২০২৫, ০০:৪২

আলোচিত কর ও ব্যয়-সংক্রান্ত বাজেট বিল নিয়ে মতবিরোধকে কেন্দ্র করে কিছুদিন ধরেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইলন মাস্কের মধ্যকার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কে টানাপোড়েন চলছিল। এবার প্রকাশ্যে পাল্টাপাল্টি আক্রমণাত্মক মন্তব্যের মধ্য দিয়ে সেই সম্পর্কে ফাটল ধরল।
গতকাল বৃহস্পতিবার মাস্কের সমালোচনা করে ট্রাম্প বলেছেন, টেসলার সিইওর ওপর তিনি ‘ভীষণ হতাশ’। ট্রাম্পের এ মন্তব্যের পর চুপ করে বসে থাকেননি মাস্ক। সঙ্গে সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ কথার জবাব দেন তিনি। এদিকে ট্রাম্প ও মাস্কের এমন পাল্টাপাল্টি বক্তব্যের পর টেসলার শেয়ারদর ব্যাপক হারে কমে গেছে।
সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কর ও ব্যয় বিলকে ‘জঘন্য’ বলে কটাক্ষ করেছিলেন বিশ্বের শীর্ষ ধনকুবের ইলন মাস্ক। তাঁর ওই মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল ওভাল অফিসে ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, ‘দেখুন, ইলনের সঙ্গে আমার খুব ভালো সম্পর্ক ছিল। জানি না, সেটা আর থাকবে কি না।’
ট্রাম্পের এ বক্তব্য যখন টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচার হচ্ছিল, ঠিক তখনই ইলন মাস্ক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) লাইভ টুইট করে প্রতিক্রিয়া জানান। তিনি বলেন, তাঁর সহায়তা ছাড়া ২০২৪ সালের নির্বাচনে ট্রাম্প জিততে পারতেন না। ট্রাম্পকে ‘অকৃতজ্ঞ’ বলেও কড়া সমালোচনা করেন মাস্ক।
গতকাল যুক্তরাষ্ট্র সফররত জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ মের্ৎসের সঙ্গে বৈঠক করেন ট্রাম্প। বৈঠক চলাকালে নজিরবিহীনভাবে তিনি মাস্কের প্রতি ক্ষোভের বিস্ফোরণ ঘটান। এমন ঘটনা এবারই প্রথম ঘটল।
মাস্ককে নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প বলেন, ‘আমি ভীষণ হতাশ। কারণ, এখানে উপস্থিত অন্য যে কারও চেয়ে তিনি এ বিলের ভেতরের খুঁটিনাটি সম্পর্কে ভালো জানতেন। হঠাৎই এটি নিয়ে তাঁর সমস্যা শুরু হয়েছে।’ তবে ট্রাম্পের এ দাবিকে মিথ্যা বলে উড়িয়ে দিয়েছেন মাস্ক।
যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি দক্ষতা বিভাগের (ডিওজিই) প্রধানের দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন ইলন মাস্ক। তাঁর বিদায় উপলক্ষে ওভাল অফিসে একটি জমকালো অনুষ্ঠানের আয়োজনও করেছিলেন ট্রাম্প। কিন্তু এর এক সপ্তাহেরও কম সময়ের মাথায় কর ও ব্যয়-সংক্রান্ত বাজেট বিলকে কেন্দ্র করে দুজনের সম্পর্কে ফাটল দেখা দিল।
ট্রাম্প প্রশাসনের কর ও ব্যয়-সংক্রান্ত বাজেট বিলটি গত ২২ মে মাত্র এক ভোটের ব্যবধানে রিপাবলিকান-নিয়ন্ত্রিত মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদে পাস হয়। মাস্ক বলেছেন, ‘ওয়ান বিগ বিউটিফুল বিল’ নামে পরিচিত এ বিল বাজেট–ঘাটতি বাড়িয়ে দিয়েছে এবং সরকারি খরচ কমানোর চেষ্টাকে ক্ষতিগ্রস্ত ও দুর্বল করেছে।
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত