অগ্রগতি না হলে ঢাকায় গণসমাবেশ

প্রধান উপদেষ্টাকে স্মারকলিপি দেবে ৮ দল

  গ্রামনগর বার্তা রিপোর্ট

প্রকাশ: ৩ নভেম্বর ২০২৫, ১৬:১৫ |  আপডেট  : ৪ নভেম্বর ২০২৫, ০১:১৭

পাঁচ দফা দাবিসহ অগ্রাধিকারমূলক দাবি আদায়ে প্রধান উপদেষ্টাকে স্মারকলিপি দেবে ৮ দল। দাবির বিষয়ে সন্তোষজনক কোনও অগ্রগতি না হলে ঢাকায় গণসমাবেশের কর্মসূচি পালন করা হবে।

সোমবার (৩ নেভেম্বর) পাঁচ দফা দাবিতে চলমান যুগপৎ আন্দোলনের আটটি রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতাদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। সকাল ১১টা থেকে বাংলাদেশে খেলাফত মজলিসের কার্যালয়ে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

এদিন দুপুরে বৈঠক শেষে যৌথ প্রেস ব্রিফিংয়ে বলা হয়, জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ অবিলম্বে জারি করতে হবে, জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি নিশ্চিত করতে পৃথক গণভোট আয়োজন করতে হবে এবং সংশোধিত ও উপদেষ্টা পরিষদে অনুমোদিত আরপিও-তে আর কোনও ধরনের সংশোধন, পরিমার্জন বা পরিবর্তন করা যাবে না। একইসঙ্গে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করা, গণহত্যার বিচার ও ফ্যাসিবাদের দোসরদের বিচার নিশ্চিত করতে হবে।

বৈঠকে ৫ দফা দাবিসহ অগ্রাধিকার প্রাপ্তমূলক দাবি আদায়ে আগামী বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) সকাল ১১টায় প্রধান স্মারকলিপি প্রদান করা হবে।

দাবির বিষয়ে সন্তোষজনক কোনও অগ্রগতি না হলে আগামী ১১ নভেম্বর, ঢাকায় গণসমাবেশের কর্মসূচি পালন করা হবে।

যৌথ প্রেস ব্রিফিংয়ে কর্মসূচি ঘোষণা করেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মামুনুল হক।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম, পীর সাহেব চরমোনাই ও বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের।

পীর চরমোনাই বলেন, জুলাই সনদের আইনিভিত্তি হলো প্রধান বিষয়। এটা না হলে এই সরকার, জুলাই গণঅভ্যুত্থান সবকিছুই আইনি প্রশ্নের মুখে পড়বে। ৫ আগস্টের পর সংস্কার, বিচার ও নির্বাচনের দায়িত্ব নিয়ে সরকার গঠিত হয়েছিল। সেই লক্ষ্যে সংস্কার কমিশন হয়েছে, ঐকমত্য কমিশন হয়েছে। গণভোটের বিষয়ে সবাই একমতও হয়েছে। এখন গণভোটের দিনক্ষণ নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যে বিভেদ তৈরি হয়েছে, তা দুঃখজনক। এই ক্ষেত্রে বিএনপির আচরণের কোনও অর্থ আমি বুঝি না।

পীর সাহেব চরমোনাই উপদেষ্টা পরিষদের আজকের বক্তব্যের প্রেক্ষিতে সব রাজনৈতিক দলগুলোকে আবারও একত্রে বসে চলমান বিভেদ দুর করে শান্তিপূর্ণ অবস্থা তৈরির আহ্বান জানান।

যৌথ প্রেসব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মাওলানা সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম (পীর সাহেব চরমোনাই), বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসে আমির মাওলানা মুহাম্মাদ মামুনুল হক, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ডা. আব্দুল্লাহ আবু তাহের, খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা আব্দুল বাসিত আজাদ, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের নায়েবে আমির মাওলানা মাহবুবুল হক ও মাওলানা কুরবান আলী কাসেমী, খেলাফত মজলিসের নায়েবে আমির মাওলানা সাখাওয়াত হুসাইন, জাগপার সহ-সভাপতি ও মুখপাত্র রাশেদ প্রধান, খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদের, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর মহাসচিব অধ্যক্ষ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দিন আহমাদ, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ড. হামিদুর রহমান আজাদ, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির মহাসচিব মাওলানা মুসা বিন ইজহার, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের মহাসচিব মাওলানা ইউসুফ সাদিক হক্কানী, খেলাফত মজলিসের যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর আলম, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টির মহাসচিব মো. কাজী নিজামুল হক নাঈম।

কা/আ 

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত