আদমদীঘির সাব-রেজিস্ট্রার অফিসে জাতীয় পতাকা উত্তোলন না করায় খুঁটিতে জঙ্গল

প্রকাশ: ২৭ মে ২০২৫, ১৯:২৫ | আপডেট : ২৮ মে ২০২৫, ০১:৩৭

অফিস কার্যক্রম চললেও বগুড়ার আদমদীঘি সাব-রেজিস্ট্রার অফিসে দীর্ঘ দিন থেকে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয় না। ফলে পতাকা উত্তোলনে নির্ধারিত স্ট্যান্ডে জঙ্গলে পরিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। গত বৃহস্পতিবার (২২ মে) কার্যদিবসে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ছাড়াই চলেছে দাফতরিক কার্যক্রম। এদিন একাধিকবার অফিস চত্বরে গিয়ে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে। বিধি মোতাবেক ছুটির দিন ব্যতীত সব কার্যদিবসে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের সরকারি নির্দেশনা থাকলেও সাব-রেজিস্ট্রার অফিসে প্রায়ই এর ব্যত্যয় ঘটে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
ওই দিন দুপুরে সাব-রেজিস্ট্রার অফিসে যাওয়া স্থানীয় বাসিন্দা আহসান হাবীব বলেন, ‘জমি রেজিস্টারের কাজে এসেছি। এসে দেখি অফিসের পতাকার খুঁটি ফাঁকা পড়ে আছে। কিছুটা থমকে গিয়েছিলাম। পরে দেখছি অফিসে স্বাভাবিক কাজকর্ম চলছে। সাব-রেজিস্ট্রারসহ সব কর্মকর্তা-কর্মচারী উপস্থিত আছেন। কিন্তু তারা জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেননি।’
ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি আরও বলেন, ‘এখানকার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সেবাগ্রহীতার কাছ থেকে উৎকোচ নিতে ভুল করেন না। কিন্তু দেশের সার্বভৌমত্বের প্রতীক জাতীয় পতাকা উত্তোলন করতে ভুলে যান। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক।’গোলাম রব্বানী নামের এক অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক বলেন, ‘আমি জমির একটি কাগজের জন্য রেজিস্ট্রি অফিসে এসেছি। কিন্তু দেখে খুবই অস্বস্তি লাগছে। এই অফিসে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়নি। অথচ জঙ্গলে পরিপূর্ণ পতাকা লাগানোর খুঁটি দাঁড়িয়ে আছে। এটা খুবই দুঃখজনক। পতাকা আমাদের স্বাধীনতার প্রতীক। জাতীয় পতাকার বিষয়ে সবার গুরুত্ব দেওয়া উচিত।’একই দিন দুপুরে সাব-রেজিস্ট্রারের কার্যালয়ে গিয়ে দেখা গেছে, ভবনের প্রবেশ পথের ডান পাশেই জাতীয় পতাকা লাগানোর খুঁটি থাকলেও তাতে পতাকা নেই। খুঁটিতে লতার জঙ্গল উঠেছে। তাতেই বোঝা যাচ্ছে অনেক দিন ধরেই পতাকা তোলা হয়নি। অথচ সাব-রেজিস্ট্রার মুদাচ্ছির হাসানসহ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অফিসে উপস্থিত রয়েছেন।
জানতে চাইলে আদমদীঘি সাব-রেজিস্টার মুদাচ্ছির হাসান বলেন, ‘পতাকা টাঙানো আমার কাজ নয়। যাদের কাজ তারা হয়তো ভুলে যান। এর আগেও এমন ঘটনা ঘটেছিলো। যাকে দায়িত্ব দেওয়া ছিলো তাকে অনেক বকাবকিও করেছি। আবারও কেন পতাকা উত্তোলন হয়নি, আমি খোঁজ নেবো।’সহকারি কমিশনার (ভূমি) মাহমুদা সুলতানা বলেন, বিষয়টি জানা ছিল না। সত্য হলে ঘটনাটি দু:খ জনক।
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত