জবি শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের দাবির বিষয়ে যে প্রতিক্রিয়া জানালেন পরিকল্পনা উপদেষ্টা

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৬ মে ২০২৫, ১৯:৫১ |  আপডেট  : ১৬ মে ২০২৫, ২৩:৩৬

তিন দফা দাবিতে শুক্রবার (১৬ মে) তৃতীয় দিনের মতো অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক-বর্তমান শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা। পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী শুক্রবার (১৬ মে) রাজধানীর কাকরাইল মোড়ে অবস্থান নিয়ে সমাবেশ শুরু করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) সাবেক-বর্তমান শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা।

এদিন জুমার নামাজের পর দুপুর সোয়া ২টার দিকে সমাবেশ শুরু হয়। সমাবেশে যোগ দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন বিভাগের অ্যালামনাইরাও।

তাদের তিন দফা হলো— 

১. আবাসন ব্যবস্থা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থীর জন্য ২০২৫-২৬ অর্থবছর থেকে আবাসন বৃত্তি কার্যকর করতে হবে; 

২. জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত পূর্ণাঙ্গ বাজেট কাটছাঁট না করেই অনুমোদন করতে হবে; 

৩. জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ পরবর্তী একনেক সভায় অনুমোদন করে অগ্রাধিকার প্রকল্পের আওতায় বাস্তবায়ন করতে হবে।

এদিকে, জবি শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের দাবি-দাওয়ার বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ।

এদিন বিকালে দেওয়া তাৎক্ষণিক এক প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, ‘জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়কে কলেজ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে উন্নীত করার পর অনেক সময় চলে গেলেও শিক্ষার্থীদের সুযোগ-সুবিধা বাড়ানোর বিষয়টিকে চরম অবহেলা করা হয়েছে। এ কারণে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের পুঞ্জীভূত ক্ষোভ আছে। গত বছর নভেম্বর মাসে এ নিয়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থী প্রতিনিধি ও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে তৎকালীন শিক্ষা উপদেষ্টা হিসেবে আমার ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছিল। সে সময় শিক্ষার্থীদের জানা ছিল না যে, ইতোপূর্বেই শিক্ষা ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের স্বউদ্যোগে একনেক সভায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাস কেরানীগঞ্জে নির্মাণের প্রস্তাব অনুমোদিত হয়’। 

‘একনেক-এর সিদ্ধান্তে বলা হয়েছিল অধিকৃত ভূমিতে একটি সুপরিকল্পিত, দৃষ্টিনন্দন ও আধুনিক মানসম্পন্ন ক্যাম্পাসের জন্য ভবনগুলো ও অন্যান্য অবকাঠামো সম্বলিত একটি মাস্টার প্ল্যান বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তৈরি করবে’। 

কাজে বিলম্বের বিষয়ে উপদেষ্টা বলেন, ‘শিক্ষার্থী ও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনাকালে যেসব চলমান নির্মাণ কাজ অসমাপ্ত রেখে ঠিকাদার চলে গিয়েছিল, সেগুলোর কাজ শেষ করতেও বলা হয়। দ্বিতীয় ক্যাম্পাস নির্মাণে শিক্ষার্থীদের দাবি অনুযায়ী সেনাবাহিনীর কাছে কাজটি দেওয়ার বিষয়ে কোনো অসুবিধা নাই বলে জানানো হয়। এসব কাজে বিলম্ব হচ্ছে কেন- তা শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও ইউজিসি খতিয়ে দেখবে বলে আশা করি’। 

ইতোমধ্যেই শিক্ষা কার্যক্রমের অনেক ক্ষতি হয়ে গেছে উল্লেখ করে ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, ‘দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের একটি পূর্ণাঙ্গ প্রকল্প অর্থাৎ মাস্টার প্ল্যান বা মাস্টার প্ল্যানের অধীনে নির্মাণ প্রকল্পের অংশ বিশেষ যথাযথ প্রক্রিয়ায় উপস্থাপন করা হলে একেনেকের দ্রুত অনুমোদন পাওয়া সম্ভব হবে। শিক্ষার্থীদের অন্যান্য দাবি-দাওয়া নিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও ইউজিসি ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে কাজ করছে। আশা করি সব পক্ষের সহযোগিতায় সমস্যার দ্রুত সমাধান হবে। ইতোমধ্যেই শিক্ষা কার্যক্রমের অনেক ক্ষতি হয়ে গেছে’।

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত