নবান্নের আগমনে কাউনিয়ায় গ্রামে গ্রামে বাঁশের তৈরী পন্যের কদর বেড়েছে
  সারওয়ার আলম মুকুল, কাউনিয়া (রংপুর) প্রতিনিধি
                                    
                                    প্রকাশ: ৩০ অক্টোবর ২০২৩, ১৭:০৫ | আপডেট : ৪ নভেম্বর ২০২৫, ০৯:২৯
                                        
                                    রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার ১টি পৌরসভাসহ ৬টি ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে চলতি মৌসুমে ধানের ভাল ফলন ও বাজারদর কিছুটা বৃদ্ধির ফলে কুষকের মুখে হাসি ফুটেছে। সেই সাথে সোনালী ফসল ঘরে তুলতে কার্তিকের শুরুতে এবারে কৃষকের ঘরে ঘরে বইছে নবান্নের আগমনী বার্তা। তাই উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজারে ডালি কুলা, চালা ও ডোল কেনার ধূম পড়েছে।
উপজেলার ৮৫ ভাগ মানুষ কৃষিজীবী তাই যে যেভাবে পারছে সামনের ধান কাটা-মাড়াইয়ের প্রস্তুতি নিতে হাট বাজারে ভীর করছেন কৃষাণীদের পছন্দের ডালি কুলা চালন ও ডোল কিনতে। তকিপল হাটে কুলা নিতে আসা রাজিব গ্রামের শফিকুল জানান সামনেই পুরোদমে শুরু হবে ধান কাটামারাই ও নবান্ন উৎসব, তাই আগে ভাগেই ধান কাটা-মাড়াইয়ের জিনিস পত্র কিনে। কারন হিসেবে তিনি বলেন কয়দিন পর দাম বাড়বে। ডালি কুলা আর চালন কিনে হাটের পাশে বসে থাকা হরিচরনলস্কর গ্রামের আঃ গফফার জানান বাড়ীর বউ-ঝি কাটামাড়ির কাজ করবে তাই ওদের খুশি করতেই আগাম কেনা। তিনি জানান গত বোরো মৌসুমে সরকার ২৬ টাকা কেজি দরে ধান কিনলেও আমাদের ধান বেঁচতে হয়েছে ১৫/১৭ টাকা কেজি। গত কয়েক দিন ধরে ধানের দাম ভালো তাই আমরা খুশি। তিনি জানান বাজারে বর্তমানে ধানের মন ১০৫০ থেকে ১১০০ টাকা। এই দাম থাকলে এবার আর ধানে তেমন লস হবে না।
বাশেঁর পন্য বিক্রেতা আঃ রশিদ জানান বাঁশের দাম কম তাই এবারে বাঁশের তৈরী কৃষি পণ্যেরও দাম কম, কিন্ত চাহিদা বেশী তবে কারিগর না থাকায় আমরা কৃষি পণ্য বাজারের চাহিদা মত দিতে পারছিনা। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ শাহানাজ পারভীন জানান উপজেলায় চলতি মৌসুমে রোপা আমন ধাণের লক্ষমাত্র ধরা হয়েছে ১১হাজার ৪শ ৫৮ হেক্টর জমিতে। এরমধ্যে খরিপ-২ মৌসুমে ২৮৩০ হেক্টর জমিতে স্বল্পমেয়াদী হাইব্রিড ও উপশী রোপা আমন ধান চাষ হয়েছে। আবহাওয়া অনুকুল থাকায় এবারে আমন ধানের ভালো ফলন হয়েছে, বাজারে ধানের চাহিদাও ভালো, তাই এবারে কৃষকরা ধানে লাববান হবেন আশা করছি।
ই
 
- সর্বশেষ খবর
 - সর্বাধিক পঠিত